1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২০ অপরাহ্ন

ইউক্রেন নিয়ে ট্রাম্প-ম্যাখোঁর বৈঠক, দুই নেতার রয়েছে মতপার্থক্য

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৩১ Time View

ইউক্রেনে যেকোনো শান্তি চুক্তি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়েই হতে হবে। প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার এই দুই নেতার বৈঠক হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ আরো বলেন, ‘এই শান্তি চুক্তিতে ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ হওয়া উচিত নয়, এর অর্থ গ্যারান্টি ছাড়া যুদ্ধবিরতি হওয়া উচিত নয়।’ সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন শান্তি লঙ্ঘন করেছেন।’ ইউক্রেনে যেকোনো শান্তি চুক্তি করতে ‘নিরাপত্তার নিশ্চয়তা’ থাকতে হবে।

তবে নিরাপত্তার নিশ্চয়তার কথা উল্লেখ না করেই ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনে শান্তি নিশ্চিত করার খরচ এবং বোঝা কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয়, ইউরোপীয় দেশগুলোকেও দিতে হবে।
জবাবে ম্যাখোঁ বলেন, ইউরোপ ‘নিরাপত্তার বোঝা আরো ন্যায্যভাবে ভাগ করার’ প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছে। রাশিয়ার আক্রমণের তৃতীয় বার্ষিকীতে আলোচনা আরো এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছে বলেও জানান তিনি।

সোমবারজুড়ে এই দুই নেতা উষ্ণ বাক্য বিনিময় করলেও, ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এবং সংবাদ সম্মেলন করার সময় ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে কিছু স্পষ্ট পার্থক্য ফুটে। যেকোনো শান্তি চুক্তিতে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি ছিল পার্থক্যের ক্ষেত্র, যেমন যুদ্ধ শেষ করার পর সম্ভাব্য পরবর্তী পদক্ষেপগুলো।

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধবিরতি চান। তিনি আরো বলেন, একবার একমত হলে তিনি রাশিয়া সফরে যাবেন এবং রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন। তবে, ম্যাখোঁ যুদ্ধবিরতি এবং তারপরে একটি বৃহত্তর শান্তি চুক্তির বিষয়ে আরো বিচক্ষণ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, দীর্ঘমেয়াদী ইউক্রেনকে রক্ষা করার নিশ্চয়তা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা দ্রুত শান্তি চাই, কিন্তু আমরা এমন কোনো চুক্তি চাই না, যা দুর্বল।
’ তবে দুই নেতা একমত হয়েছেন যে, যেকোনো শান্তি চুক্তিতে ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা উচিত। যা রাশিয়া সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।

ম্যাখোঁ ওভাল অফিসে বলেন, তারা সামনের সারিতে থাকবে না। তারা কোনো সংঘাতের অংশ হবে না। শান্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শন নিশ্চিত করার জন্য তারা সেখানে থাকবে। ট্রাম্প তখন বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তা মেনে নেবেন। আমি বিশেষভাবে তাকে এই প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করেছি। এতে তার কোনো সমস্যা নেই।’

ট্রাম্প এক মাস আগে ক্ষমতায় ফেরার পর ম্যাখোঁ হলেন প্রথম ইউরোপীয় নেতা, যিনি ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করলেন। ম্যাখোঁর দাবি, এই আলোচনা একটি ঐক্যবদ্ধ নীতির প্রচেষ্টায় ‘মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।’ ইউক্রেনের প্রতি ট্রাম্পের কঠোর মনোভাব এবং যুদ্ধ নিয়ে মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগের মাঝে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমারও এই সপ্তাহের পরের দিকে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসবেন।

সূত্র: বিবিসি

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ