1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১৭ অপরাহ্ন

বাঞ্ছারামপুরের লুঙ্গি যাচ্ছে বিদেশে

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১২
  • ১৩৬ Time View

বাঞ্ছারামপুরের তাঁতের কাপড় বিদেশে রপ্তানি করে প্রতি বছর আয় হচ্ছে সাড়ে তিন কোটি টাকা প্রায়। এমন তথ্য জানা গেছে, তাঁত সংশ্লিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড লুঙ্গির মালিক আলহাজ হেলাল মিয়া সিআইপির কাছ থেকে। ফিরোজ মিয়া উইভিং ফ্যাক্টরির শাহী লুঙ্গি-গামছা-রুমাল বিদেশে বেশ সমাদৃত।

আমানত শাহ লুঙ্গির পরিচালক মো. কামরুল হাসান জানান, বিদেশে বাঞ্ছারামপুরের লুঙ্গির চাহিদা অনেক।
প্রবাসীরা দেশীয় লুঙ্গি ছাড়া বিশেষ করে স্ট্যান্ডার্ড, শাহী, আমানত শাহ ছাড়া তো কিনতেই চায় না। বিদেশে যে পরিমাণ ডিমান্ড আছে সরকার যদি তাঁতিদের সুদমুক্ত ঋণ দিত তবে, প্রায় বিলুপ্তির পথে এই তাঁত শিল্পটিকে পুনরায় জনপ্রিয় করে তোলা সম্ভব।

বাঞ্ছারামপুরের রুপুসদী গ্রামের কান্দাপাড়ায় প্রায় অনেক মানুষই আগে তাঁত বুনত। এই গ্রামটিকে কান্দাপাড়া না বলে

তাঁতীপাড়ায় নামকরণ করা হয়। তাঁতীপাড়ায় তাঁতকলগুলো ঘুরে দেখা যায়, ফিরোজ মিয়া সওদাগর (বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান) বাড়িতে একটি ঘরে বসে ৮-৯ জন তাঁত শ্রমিক তাঁত কলগুলোতে তাঁত বুনছেন। তিনি জানান, আমার উপরে ওঠার প্রধান অবলম্বন হইলো এই তাঁত। এই শ্রমিকদের দিয়ে তাতের কাপড় বানাইয়া একেক সময় পাইকারগো, আবার বছরে ৭-৮ দফা ডাইরেক্ট এলসি খুইল্যা আরব দেশগুলাতে রপ্তানি করি। এইঠা আমার চৌদ্দ পুরুষের পেশা। ছোট্ট বেলা থেইক্ক্যা অহনো আমি এই বৃদ্ধ বয়সেও বাবুরহাট, সিরাজগনজে কাপড়ের বান্ডেল লইয়্যা বেচবার যাই।

ফিরোজ মিয়ার কর্মচারী তাঁতি গণি মিয়া জানান, বিশ বছর ধইরা তাঁতের কামের সঙ্গে আহার-রুজি চালাইয়া আইতাছি। এক ছেলে, এক মেয়ে স্থানীয় স্কুলে পড়ে। তাঁত বুইন্ন্যা যে দুইশো টাকা হাজিরা পাই তা দিয়া সংসার চালাইতে কষ্ট হয়। কিন্তু তাঁতের মায়া ছাড়তে পারি না বইল্যা তাঁত কলের লগেই জীবনঠা পার কইরা দিমু।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ