1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
হাদিকে গুলির ঘটনা নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের অংশ ৩৩৬ জনের গেজেট বাতিলে সুপারিশ জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জামায়াত কখনো ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপস করেনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে: ড. সালেহউদ্দিন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদান আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত : নৌপরিবহন উপদেষ্টা হাসিনা-কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল ২০২৪-কে ১৯৭১-এর মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করি : মাহফুজ আলম ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্যকে জাতীয় শক্তিতে পরিণত করতে হবে : সালাহউদ্দিন আহমদ

ন্যায্যমূল্যের ধান মজুদের জন্য চাইলে ঋণ পাবে কৃষক

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১২
  • ৫২ Time View

ন্যায্যমূল্য পেতে সমবায়ের মাধ্যমে ধান ও চাল তিন মাস পর্যন্ত মজুদ করতে চাইলে কৃষকদের ঋণ দেবে কৃষিব্যাংক।

শনিবার ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ক্যাম্পেইন ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুড (সিএসআরএল) আয়োজিত জাতীয় কৃষক শুনানিতে এ কথা বলেন কৃষিব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ।

কৃষকদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিশ্চিত করতে শুনানির মতো অনুষ্ঠান না করে তাদের সংগঠিত হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি বলেন, “কৃষকেরা সংগঠিত হলে মুনাফালোভীরা পালাতে বাধ্য হবে।”

কৃষিব্যাংকের চেয়ারম্যান আরো বলেন, “ঘরে ঘরে গিয়ে কৃষকের কাছ থেকে পণ্য কেনা সরকারের জন্য কঠিন।” এ কারণে কৃষকদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রুপে সংঘবদ্ধ হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “তাহলে সরকার সেই গ্রুপের কাছ থেকে সরাসরি ধান চাল কিনতে পারবে। এতে মিলার সিন্ডিকেট বাজারকে প্রভাবিত করতে পারবে না।”

সমবায়ের ভিত্তিতে কৃষকদের গ্রুপগুলো তিন মাস পর্যন্ত ধান-চাল মজুদ রাখতে চাইলে কৃষিব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, “এতে করে যোগান ও সরবরাহের সূত্র মোতাবেক কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য পাবে।”

দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সত্ত্বেও কৃষকেরা উৎপাদন খরচের কম দামে পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে- এর পেছনে পুঁজিবাদের বিস্তারকেই দায়ী করেন ইব্রাহীম খালেদ।

স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে ‘কল্যাণ অর্থনীতি’র কথা বলা হলেও এখন ‘ধনবাদী অর্থনীতি’ চলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, “পুঁজিবাদ সংসদ ও আইনকে অধিকার করেছে। যে কারণে শক্তির কাছে মার খাচ্ছে জনগণ। শক্তি এখন হয় নির্বাচিত হচ্ছে, না হয় তাদের সহযোগিতায় অন্যরা নির্বাচিত হচ্ছে।”

শুনানি অনুষ্ঠানে কৃষক প্রতিনিধিরা বলেন, কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে না পারলে উৎপাদনে ধস নামবে।

শুনানিতে অংশ নিয়ে যশোর জেলার কৃষক রঞ্জন বিশ্বাস জানান, তিনি নিজের এবং বর্গা নেওয়া জমিতে ধান চাষ করেন। এতে তার ধানে মণপ্রতি খরচ হয় প্রায় ৭০০ টাকা। কিন্তু সেই ধান বিক্রি করতে হয়েছে ৫২০ টাকায়। সরকার নির্ধারিত দামে তিনি ধান বিক্রি করতে পারেননি। এতে তার ৩২ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। আগামীতে ধান চাষ কমিয়ে দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

ভেজাল রাসায়নিক সার আর কীটনাশকের কারণে তার একটি জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে উল্লেখ করে রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, “ভেজাল রোধ করতে না পারলে প্রান্তিক কৃষকেরা দরিদ্র থেকে হতদরিদ্রে পরিণত হবে।”

নাটোরের রসুনচাষী জেকের আলী তরফদার জানান, গত মৌসুমে তিনি বর্গা নিয়ে ৩ বিঘা জমিতে বসুন চাষ করেছিলেন। এতে তার খরচ হয় লক্ষাধিক টাকা। এই টাকার কিছু ঋণ এবং কিছু গরু বিক্রি করে সংগ্রহ করেন তিনি।

গত মৌসুমে রসুনের দাম ছিল ৮ হাজার টাকা মণ। আর চলতি মৌসুমে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায়। এতে তার অনেক ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমাদের অঞ্চলে এখনও অনেক রসুন অবিক্রিত পড়ে আছে। কিন্ত বিদেশ থেকে রসুন আমদানি করা হচ্ছে। এ অবস্থা থাকলে আগামীতে ওই অঞ্চলের কৃষকেরা রসুন চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।”

সুনামগঞ্জের হিরন চন্দ্র দাসও ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় আগামীতে ধান চাষের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আলোচনায় কৃষিবিদ ড. নিয়াজ পাশা বলেন, বর্তমান ব্যবস্থাতেই ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা সম্ভব। মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের তাড়াতে পারলেই কৃষক উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পাক্ষিক অনন্যার সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বক্তব্য দেন- তথ্য কমিশনার ড. সাদেকা হালিম, বাংলাদেশ ল কমিশনের চেয়ারম্যান ড. শাহ আলম, অর্থনীতি সমিতির সদস্য হান্নানা বেগম প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ