সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ গতকাল বৃহস্পতিবার তার চীন সফর শুরু করেছেন। এ সফরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠকে বসবেন আসাদ।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর হ্যাংজু দিয়ে এ সফর শুরু করেছেন আসাদ। শনিবার থেকে সেখানে শুরু হচ্ছে এশিয়ান গেমস। এশিয়ান গেমসের অনুষ্ঠানে থাকবেন তিনি।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে দেশটি সফরে গেছেন আসাদ। সফরে তার সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলও রয়েছে। আসাদ এবং এশিয়ান গেমসে যোগদানকারী অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সাথে একটি ভোজসভায় যোগ দিতে শি জিনপিং আজ হ্যাংজুতে যাবেন।
২০১১ সালে সিরিয়ায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর এটি আসাদের প্রথম চীন সফর।
এ সংঘাতে ৫ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, লাখো বেসামরিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং সিরিয়ার অবকাঠামো ও শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লন্ডনের চ্যাথাম হাউসের একজন পরামর্শক ফেলো হেইদ হেইদ লেখেছেন— জিনপিংয়ের সাথে আসাদের বৈঠকে সিরিয়ার পুনর্গঠনে সহায়তা সুরক্ষিত করার চেষ্টা করার বিষয়ে মনোনিবেশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২২ সালে সিরিয়া চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে (বিআরআই) যোগ দেয়। বিআরআই আঞ্চলিক প্রভাবের বিনিময়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অবকাঠামো তহবিলের ব্যবস্থা করে। তবে সিরিয়ায় বিআরআই প্রকল্পের জন্য তহবিল ‘এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
চীন মধ্যপ্রাচ্যে তার প্রভাব বিস্তার করার পরই এ সফরে গেলেন আসাদ। মার্চে চীনের মধ্যস্থতায় ইরান এবং সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হয়।
বেইজিং দীর্ঘদিন ধরে আসাদের সরকারকে সমর্থন জানিয়ে আসছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কূটনৈতিক সমর্থনও দিয়ে থাকে চীন। চীন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। আসাদের সরকারের বিপক্ষে যাওয়া প্রস্তাবগুলো আটকাতে এ পর্যন্ত আটবার তার ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করেছে চীন।
ডয়চে ভেলে।