1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন

ওষধশিল্পে বিদেশে বিনোয়োগ দরকার

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১০ অক্টোবর, ২০১২
  • ৯৩ Time View

বিদেশে ওষুধশিল্পে বিনিয়োগের সুযোগ বাড়ালে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে। এতে বাংলাদেশ বিশ্বে ওষুধশিল্পে বিপ্লব ঘটাতে পারবে। কিন্তু মানিলন্ডারিংয়ের আশঙ্কায় সরকার এতে আগ্রহী নয়।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রূপসী বাংলা হোটেলের বলরুমে তৃতীয় ডি-৮ সম্মেলনের এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ওষুধশিল্প বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ (বাপি)।

সোমবার থেকে দুই দিনব্যাপী শিল্প-সহায়তা বিষয়ক কার্যদলের সপ্তম সভা শুরু হয়েছে।

ডি-৮ জোটভুক্ত দেশগুলো হলো: বাংলাদেশ, মিসর, তুরস্ক, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ইরান, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।

ডি-৮ শিল্প সহায়তা বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সভা গত ৮ অক্টোবর ঢাকায় শুরু হয়েছে। চলবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত।

এ উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করেছে। ওয়েবের ঠিকানা  www.d8dhaka.gov.bd

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনসেপ্টার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ওষ‍ুধশিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুকতাদির।

বিদেশে বিনিয়োগ সুবিধার ওপর গুরুত্বারোপ করে মুক্তাদির বলেন, “বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ বাড়ালে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবেন। যেমন- ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করলে অল্প সময়েই তার দ্বিগুন-তিনগুণ পরিমাণ অর্থ দেশে আসবে।”

মুকতাদির বলেন, “ওষুধশিল্পে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের সহজে নিবন্ধন দিতে হবে। তা না হলে প্রতিষ্ঠিত কিছু কোম্পানি ছাড়া বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ ভালোভাবে টিকে থাকতে পারবে না।”

আবদুল মুকতাদির বলেন, “২০১৬ সালের পর চলতি ট্রিপস (ট্রেড রিলেটেড অ্যাসপেক্টস অব ইনটেলেকচুয়াল প্রপর্টি রাইটস) এর পরিবর্তন হবে। এরপর যেসব ওষুধ আসবে সেগুলোর দাম বাড়বে। পাঁচ থেকে দশ বছর আমরা বর্তমান ট্রিপসে দাম স্থায়ী রাখতে সক্ষম হবো।”

তিনি আরো বলেন, “৫ থেকে ১০ বছর পর ট্রিপসের পরিবতন এলে চিকিৎসা পদ্ধতির পরিবর্তন আসবে। এতে করে ওষুধের দামও বাড়বে।”

সেমিনার শেষে জেসন ফার্মাসউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সলিমুল্লাহ বলেন, “আমাদের পাশের দেশ ভারত ওষুধশিল্পে যেসব সুযোগ সুবিধা পায়, আমরা সেগুলো পাই না। সরকারের উচিত ওষুধশিল্পে অধিক পরিমানে পৃষ্ঠপোষকতা করা। তাহলে আমরা অনেক পথ পাড়ি দিতে পারব।”

তিনি বলেন, “বর্তমানে আমরা ২৮টি দেশে ওষুধ রফতানি করছি। সরকারের সহযোগিতা পেলে বিশ্বের সব দেশে রফতানি সম্ভব হবে। ১৫ বছর আগে এই সেক্টরে কিছুই ছিল না। এখন অনেক দূর এগিয়েছি।”

“ওষুধশিল্পে সরকারি সহযোগিতা না পেলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টেকা যাবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সলিমুল্লাহ।

সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের নিবাহী পরিচালক হালিমুজ্জামানসহ দেশি বিদেশি উদ্যোক্তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ