1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে: ড. সালেহউদ্দিন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদান আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত : নৌপরিবহন উপদেষ্টা হাসিনা-কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল ২০২৪-কে ১৯৭১-এর মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করি : মাহফুজ আলম ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্যকে জাতীয় শক্তিতে পরিণত করতে হবে : সালাহউদ্দিন আহমদ হাদিকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সিঙ্গাপুরের পথে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে ডাকসুর মার্চ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না : সিইসি বিজয় দিবসে ৪০ মিনিট বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল চলাচল হাদিকে সিঙ্গাপুর নিতে ঢাকায় এসেছে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স

জিজ্ঞাসাবাদে কমল সাড়ে পাঁচ হাজার এলসির মাধ্যমে হলমার্ক টাকা সরিয়েছে

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১২
  • ৬৭ Time View

দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদ্য বিদায়ী পরিচালক সাইমুম সরওয়ার কমল
বলেছেন, ‘‘ব্যাংকের রুপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন) শাখা থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার এলসির মাধ্যমে টাকা সরিয়েছে হলমার্কসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে আমরা তখন অবগত হইনি।’’

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদকালে দুদক কর্মকর্তা তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ‘‘হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে আপনি দায় এড়াতে পারেন কি-না!’’ এর উত্তরেই পরিচালনা পর্ষদের সদ্য বিদায়ী এ পরিচালক এসব কথা বলেন।

সূত্র আরো জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে দুদকের অনুসন্ধান টিমকে তদন্তে অগ্রগতিমূলক তথ্য দিয়েছেন কমল।

সোনালী ব্যাংকের সদ্য বিদায়ী ও বর্তমান মোট পাঁচ পরিচালককে বৃহস্পতিবার তলব করলেও দুদকের ডাকে সাড়া দিয়েছেন মাত্র তিনজন। পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী বাহারুল ইসলাম কমিশনের কাছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সময়ের আবেদন করেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার দত্ত কমিশনে না এসে লিখিত বক্তব্য পাঠান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা গেছে, দুদকের অনুসন্ধান টিমকে কমল জানান, এতো ছোট ছোট আইবিপির মাধ্যমে (ইনল্যান্ড বিল পার্সেজ) টাকা সরানো হয়েছে যে তা আদৌ পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না। পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত দেওয়া।

টাকা-পয়সা লেনদেনের দায়িত্ব ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের।

দুদকের অনুসন্ধান টিমের এক কর্মকর্তা তার কাছে জানতে চান, কবে পরিচালনা পর্ষদ ঋণ জালিয়াতির বিষয়ে অবগত হয়? এ প্রশ্নের উত্তরে দুদককে তিনি জানিয়েছেন, গত ২ জানুয়ারি বিষয়টি পরিচালনা পর্ষদের নজরে আসে।

দুদকের অনসন্ধান কর্মকর্তারা জানতে চেয়েছেন, পরিচালনা পর্ষদ যখন বিষয়টি জানতে পারে, তখন কি ব্যবস্থা নেয়?

এর উত্তরে দুদকের অনুসন্ধান টিমকে কমল বলেন, ‘‘আমরা যখন এতো বড় ঋণ জালিয়াতির বিষয় জানতে পারি তখন এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব সহকারে তা বিবেচনা করেনি। প্রতিদিন যেখানে সোনালী ব্যাংকের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয় সেখানে রুপসী বাংলার মতো একটি শাখায় কী ঘটলো তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব ছিলো না।’’

এদিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেলা ৪টায় বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমল বলেন, ‘‘হলমার্ক কেলেঙ্কারির পেছনে সরকারের কোনো ইন্ধন ছিলো না।’’

তিনি বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলী, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাও সোনালী ব্যাংক থেকে বড় অংকের ঋণ নেননি।’’

হলমার্ক কেলেঙ্কারির পেছনে যারা দায়ী তাদের শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘যে সিদ্ধান্তের বিষয় আমরা জানি না, সে বিষয়ে দায়-দায়িত্ব নিতে পারি না।’’

এদিকে দুপুর একটায় জিজ্ঞাসাদ শেষে সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কাশেম হুমায়ুন সাংবাদিকদের বলেন, হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনা কোনো ঋণ নয়, জালিয়াতি।

তিনি বলেন, হলমার্ক গ্রুপ রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে যে টাকা নিয়েছে, ওই টাকা ব্যাংকের আন্তর্জাতিক বিভাগ থেকে নেওয়া হয়েছে।

কাশেম হুমায়ূন বলেন বলেন, ব্যাংকের নিয়মানুয়ী বছরে দুই বার ব্যাংক অডিট করার কথা থাকলেও ওই শাখায় দেড় বছরে একবারও অডিট হয়নি।

বিকেল পৌনে পাঁচটায় পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান সদস্য মো: শহিদূল্লাহ মিঞার জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়। জানা গেছে, দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর দোষ চাপিয়েছেন।

মঙ্গলবার ঋণপত্র জালিয়াতির ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ পরিচালনা পর্ষদের ১১ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠায় দুদক।

হলমার্কের অর্থ কেলেঙ্কারির ব্যাপারে অধিকতর অনুসন্ধানের জন্য সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৬ সদস্যকে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।

সূভাষ সিংহ রায়, জান্নাত আরা হেনরী, অ্যাডভোকেট সত্যেন্দ্র নাথ ভক্ত, কে এম জামাল রোমেল, আনোয়ার শহীদ এবং এ এস এম নাঈম বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে পরিচালনা পর্ষদ নয়, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষই দায়ী।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ