1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে: ড. সালেহউদ্দিন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদান আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত : নৌপরিবহন উপদেষ্টা হাসিনা-কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল ২০২৪-কে ১৯৭১-এর মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করি : মাহফুজ আলম ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্যকে জাতীয় শক্তিতে পরিণত করতে হবে : সালাহউদ্দিন আহমদ হাদিকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সিঙ্গাপুরের পথে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে ডাকসুর মার্চ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না : সিইসি বিজয় দিবসে ৪০ মিনিট বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল চলাচল হাদিকে সিঙ্গাপুর নিতে ঢাকায় এসেছে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স

গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি নিয়োগের বিধি বদলাল

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১২
  • ৬৭ Time View

ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বিধি পরিবর্তন করে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ সংশোধনের বিল সংসদে পাস হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ আরো স্বচ্ছ করতে এবং নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে আইনে এই সংশোধন আনা হয়েছে।

অন্যদিকে ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ইউনূসের অভিযোগ, সরকার প্রতিষ্ঠানটিকে করায়ত্ত করতেই এই সংশোধন করছে।

জাতীয় সংসদের মঙ্গলবারের অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অনুপস্থিতিতে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার গ্রামীণ ব্যাংকের সংশোধিত অধ্যাদেশের বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন।

বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। তবে প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো গ্রহণ না হওয়ায় বিল পাসের সময় ওয়াকআউট করেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম।

এই বিলের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, “সবচেয়ে আগে এই ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে সরাতে হবে।”

আইনের সংশোধনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে অর্থমন্ত্রীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ সংক্রান্ত বিধানের কারণে এই নিয়োগ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার ফলে পদটি দীর্ঘদিন শূন্য থাকে।”

“গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) বিল- ২০১২ জাতীয় সংসদে পাস হলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ আরো স্বচ্ছ হবে এবং নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন হবে বলে আশা করা যায়,” বলেছেন তিনি।

প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসা নোবেলজয়ী ইউনূসকে গত বছর গ্রামীণ ব্যাংকের ওই পদ থেকে সরায় সরকার।

বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে সরকার জানালেও তার সমালোচনা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ।

ইউনূসকে অপসারণের পর গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে নতুন নিয়োগ দেয়া হয়নি। এক বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এর মধ্যে বিধি সংশোধনে ‘গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশ’ জারি হয়। নিয়ম অনুযায়ী তা মঙ্গলবার সংসদেও অনুমোদন করে নেয়া হল।

সংশোধিত আইনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের জন্য বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে পাঁচ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিটি গঠনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে বোর্ডের চেয়ারম্যানকে। এতে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগে প্রক্রিয়া এবং যোগ্যতায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।

নির্বাচন কমিটি আবেদনকারীদের মধ্য থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে তিনজনের একটি প্যানেল মনোনীত করে তা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে জমা দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে এর মধ্য থেকে একজনকে নিয়োগ দেবে পরিচালনা পর্ষদ।

গত ২ অগাস্ট মন্ত্রিসভা গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করে। এরপর ২২ অগাস্ট সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্বাক্ষরের মাধ্যমে অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি হয়।

ইউনূসসহ আইন সংশোধনের বিরোধিতাকারীরা বলে আসছেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগে সরকার মনোনীত চেয়ারম্যানের ক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়বে।

প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ঘোষণা দিয়েছে, তারা ক্ষমতায় গেলে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশের এই সংশোধনী বাতিল করা হবে।

১৯৮৩ সালে একটি সামরিক অধ্যাদেশের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের সূচনা হয় এবং অধ্যাদেশের মাধ্যমে এর আগেও এর আইনে সংশোধন এসেছিল বলে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ জানিয়েছেন।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইউনূস এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে এলেও অবসরের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তার এমডি পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গত বছরের মার্চে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন ইউনূসকে অব্যাহতি দেয়, তখন তার বয়স প্রায় ৭১ বছর। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র তখনো উষ্মা প্রকাশ করে। এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়েও বিফল হন ইউনূস।

ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টাকে ‘শান্তি স্থাপন’ বিবেচনা করে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংককে।

২০১০ এর ডিসেম্বরে নরওয়ের টেলিভিশনে প্রচারিত একটি প্রামাণ্যচিত্রে মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ ব্যাংককে দেওয়া বিদেশি অর্থ এক তহবিল থেকে অন্য তহবিলে স্থানান্তরের অভিযোগ ওঠে। এরপর দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।

এই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করে সরকার। গ্রামীণ ব্যাংক ও সহযোগী সংস্থাগুলোর কার্যক্রমে নানা ‘অসঙ্গতির’ তথ্য উঠে আসে ওই কমিটির প্রতিবেদনে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ