1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ন

চীনজুড়ে জাপানবিরোধী বিক্ষোভ চরমে

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১২
  • ৬৯ Time View

পূর্ব চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ দ্বীপ নিয়ে চীনজুড়ে জাপান বিরোধী বিক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার চীনে জাপানের আগ্রাসনের বর্ষপূর্তির উত্তেজনার মধ্যে নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ।

মঙ্গলবার উত্তরপূর্ব চীনে জাপানের আগ্রাসনের বর্ষপূর্তির উত্তেজনার মধ্যে নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ।

বেইজিং এ জাপানি দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। এক বিক্ষোভকারীর উক্তি, “আজ চীনে জাপানি আগ্রাসনের সেই লজ্জ্বার দিন।”

চীনে কয়েকদিনের জাপানবিরোধী বিক্ষোভ এ তিক্ত স্মৃতির স্মরণে আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে।

১৯৩০-৪০ এর দশকে জাপানের সামরিক আগ্রাসনের স্মৃতি আর বর্তমানে বিরোধপূর্ণ দ্বীপের সম্পদ নিয়ে বিরোধে দু’দেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিন থেকেই ভালো যাচ্ছে না।

১৯৩১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে চীনের রেলওয়ে উড়িয়ে দিয়েছিল জাপানি সেনারা। এর দায় তারা চাপিয়েছিল ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর।

পরে জানা যায়, উত্তর-পূর্ব চীনে আগ্রাসন চালানোর পট প্রস্তুত করতেই জাপান ওই রেলওয়ে উড়িয়ে দেয়।

‘সব জাপানি কুকর কে ঝেঁটিয়ে বিদায় কর,’ লেখা ব্যানার নিয়ে মঙ্গলবার জাপানি দূতাবাস অভিমুখে বিক্ষোভ করেছে ক্ষুব্ধ চীনারা। বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসের কয়েকটি জানালাও ভাঙচুর করেছে বলে জানিয়েছে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

জাপানের উপকূলরক্ষীরা বলেছে, বিরোধপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জের জলসীমার কাছে রয়েছে কয়েকটি চীনা জাহাজ। মঙ্গলবার দুই জাপানি কিছু সময়ের জন্য ওই দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার পর চীনা জাহাজগুলো সেখানে ভিড়ে।

চীন এ ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বিরোধপূর্ণ জায়গায় দুই জাপানির পদচারণা উস্কানিমূলক আ্যখ্যা দিয়েছে বেইজিং।

চীনে বিক্ষোভের মুখে দেশটিতে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কারখানার কাজ ইতোমধ্যেই স্থগিত করেছে জাপান।

জাপান-বিরোধী বিক্ষোভকারীরা প্যানাসনিক ইলেকট্রনিক্স করপোরেশনের দুটি কারখানায় হামলা চালানোর পর সোমবার এ প্রতিষ্ঠানের কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে জাপান।

কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে জাপানের আরেকটি করপোরেশন ক্যাননও চীনের তিনটি কারখানায় তাদের কার্যক্রম সোম ও মঙ্গলবার দু’দিনের জন্য স্থগিত করেছে। গাড়ি তৈরি প্রতিষ্ঠান টয়োটাসহ জাপানের অন্যান্য ব্যবসাও বিক্ষোভের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

গত শুক্রবার পূর্ব চীন সাগরের বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জের কাছে চীনের ছয়টি টহল জাহাজ পাঠানো নিয়ে জাপানের সঙ্গে উত্তেজনা দেখা দেয়। শনিবার চীনেজুড়ে জাপানবিরোধী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। রবি এবং সোমবারও বিক্ষোভ হয়েছে চীনে।

পূর্ব চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ দ্বপটিকে চীন ডাকে ‘দিয়াওউ’ আর জাপান ডাকে ‘সেনকাকু’ নামে।
দু’সপ্তাহ আগে জাপান ওই দ্বীপ কেনার সিদ্ধান্ত জানালে ক্ষুব্ধ চীন একে উস্কানিমূলক এবং তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করে। এরপরপরই ওই দ্বীপপুঞ্জের কাছে জলসীমায় টহল জাহাজ পাঠায় চীন।

পূর্ব চীন সাগরের জনবসতিবিহীন কিন্তু খনিজে সমৃদ্ধ ওই দ্বীপগুলোর মালিকানা দাবি করে আসছে চীন, জাপান এমনকি তাইওয়ানও।

ওকিনাওয়ার দক্ষিণে ও তাইওয়ানের উত্তরে অবস্থিত এ দ্বীপগুলো সমুদ্রপথে গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলোর মধ্যে পড়েছে। এছাড়া এগুলোর কাছাকাছি অঞ্চলে সমুদ্রতলে একটি প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র আছে বলে মনে করা হয়।

চীনা গণমাধ্যম জানিয়েছে, টহল জাহাজগুলোর মাধ্যমে নৌ বাহিনীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নজরদারি চলছে। অন্যদিকে, জাপান বলছে, চীন তাদের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে।

ওদিকে, জাপান দ্বীপটিকে নিজের সম্পত্তি মনে করছে অভিযোগ করে বেইজিংয়ে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে ক্ষুব্ধ চীনারা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ