1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১০ অপরাহ্ন

ইসলাম অবমাননায় ফুঁসে ওঠা মুসলিম বিশ্ব ওবামার নয়া নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২
  • ৭৪ Time View

যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত একটি চলচ্চিত্রে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা এবং ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে হেয় করে উপস্থাপনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে সারা বিশ্বের মুসলিম জনগণ। এ পরিস্থিতি আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পটভূমিতে প্রেসিডেন্ট ওবামার জন্য নতুন এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।

গত মঙ্গলবার শুরু হওয়া লিবিয়া ও মিসরের প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুক্রবারের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে শুরু করে পূর্ব আফ্রিকার আটলান্টিক মহাসাগরের তীর পর্যন্ত।

সপ্তাহে মুসলমানদের জন্য তাপর্যপূর্ণ দিবস শুক্রবার প্রতিবাদকারীরা সমবেত হয় বিভিন্ন দেশের রাজধানীতে অবস্থিত মার্কিন ও পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাসের আশপাশে। বেশ কয়েকটি দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ একপর্যায়ে হয়ে ওঠে সহিংস।

কয়েকটি দেশে বিক্ষোভকারীরা মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায়। এছাড়া কোনো কোনো দেশে মার্কিন মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

তিউনিসিয়া, সুদান ও ইয়েমেনে মার্কিন দূতাবাসের বাইরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। লেবাননে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে মার্কিন ফাস্টফুড চেইন কেএফসির একটি শাখা।

এদিকে, বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকতে মিসরীয় প্রেসিডেন্টের আহবান সত্ত্বেও সিনাইয়ে ইসরায়েল সীমান্তে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে মিশরের বিক্ষুদ্ধ প্রতিবাদকারীরা।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে শুরু করে আরববিশ্ব, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ মিলিয়ে কমপক্ষে ২০টি দেশে মার্কিনবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবারের বিক্ষোভে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কমপক্ষে ১১ বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ শত শত বিক্ষোভকারী।

পুলিশের ছোড়া টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা এসময় ওইসব দেশে মার্কিন দূতাবাস ভবনগুলোতে ঢোকার চেষ্টা করে। তাদের স্লোগানে ছিল নবী মোহাম্মদের প্রতি পরম শ্রদ্ধা এবং তার প্রতি অসম্মানের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা।

সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ নিজেদের রাজধানীগুলোতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ও পশ্চিমা অবস্থানগুলো রক্ষার জন্য যথাসাধ্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিলেও বিক্ষুদ্ধ জনতার যুদ্ধংদেহী মনোভাবের সামনে অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়ে তারা।

কায়রোতে মার্কিন দূতাবাস রক্ষায় নিয়োজিত নিরাপত্তা সদস্যদের ওপর পাথর নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধরা। এসময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছোড়ে। এছাড়া দূতাবাসের চারপাশে সাঁজোয়া যানও মোতায়েন করে তারা।

মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে মিসরে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪ জন। শুক্রবারও পুলিশের গুলিতে নিহত হন এক বিক্ষোভকারী।

রাজধানীর পাশাপাশি মিসরের সিনাইয়ে বিক্ষুদ্ধ জনগণ ‘আল্লাহ আকবার স্লোগান দিয়ে ইসরায়েল সীমান্তে অবস্থিত আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষীদের ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এসময় তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে চার কলম্বিয়ান শান্তিরক্ষী আহত হয় বলে জানা গেছে।

ঘাঁটিটি গাজা এবং ইসরায়েল সীমান্তের অল্প দূরত্বে অবস্থিত। মিসর-ইসরায়েলের মধ্যে ক্যাম্প ডেভিড শান্তিচুক্তির পর থেকে সেখানে প্রায় ১৫শত আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী অবস্থান করে আসছেন যাদের মধ্যে আছেন মার্কিন শান্তিরক্ষীরাও।

এদিকে, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন ও সুদানে দূতাবাসগুলোতে হামলার ঘটনা ঘটলেও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিগত কয়েকদিনের মত ইয়েমেনের রাজধানী সানা শুক্রবারও থাকে উত্তাল। বৃহস্পতিবার সানায় মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছিলো বিক্ষোভকারীরা। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবারও তারা দূতাবাস অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে গুলি চালিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। এসময় নিহত হন চার বিক্ষোভকারী।

জেরুজালেমেও ফিলিস্তিনিদের একটি বিক্ষোভ মিছিল আটকে দেয় ইসরায়েলি পুলিশ। শত শত বিক্ষোভকারী এসময় মার্কিন কনস্যুলেটে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ইসরায়েলি পুলিশের ছোড়া ধোঁয়ার গ্রেনেডের জবাবে বিক্ষোভকারীরাও পুলিশের ওপর পাথর ও বোতল নিক্ষেপ করে। এ সময় চার বিক্ষোভকারীকে আটক করে ইসরায়েলি পুলিশ।

গাজায় বিক্ষোভকারীরা মার্কিন পতাকায় অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বিরোধী স্লোগান দেয়।

তিউনিসিয়ার রাজধানীতে দূতাবাসে হামলা চালাতে উদ্যত বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। এ ঘটনায় চারজন নিহত ছাড়াও আহত হয় শতাধিক।

বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ এসময় দেয়াল টপকে দূতাবাসের ভেতর প্রবেশ করে এবং এর শীর্ষে ‘কালিমায়ে তাইয়েব’ খচিত কালো পতাকা উড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি দূতাবাসের পাশ্ববর্তী একটি আমেরিকান স্কুলেও আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।

তবে সুদানের রাজধানী খার্তুমে শুক্রবার সবচেয়ে তীব্র মার্কিন বিরোধী সহিংস বিক্ষোভ সংঘটিত হয়। জার্মানিতে সম্প্রতি একটি মসজিদকে অবমাননা করা এবং যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত চলচ্চিত্রে ইসলাম অবমাননার প্রতিবাদে এদিন রাজধানী খার্তুমে অবস্থিত জার্মান ও মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে রওয়ানা হয় বিক্ষোভকারীরা।

এসময় জার্মান দূতাবাসে ভাংচুর চালানোর পাশাপাশি কম্পাউন্ডের কোনো কোনো অংশে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। পরে ব্রিটিশ দূতাবাস ঘিরে ফেলে ভাংচুরের চেষ্টা চালায় তারা। এ সময় পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালালে নিহত হন তিন বিক্ষোভকারী।

মার্কিন দূতাবাস রক্ষায় ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে সুদানি কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র তাদের দূতাবাসে একদল মার্কিন মেরিন সেনা মোতায়েন করেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় ত্রিপোলি নগরীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শুক্রবার কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এসময় বিক্ষোভকারীরা মার্কিন ফুড চেইন কেএফসি এবং হারদিস রেস্তোরাঁয় আগুন ধরিয়ে দেয়।

পাশাপাশি নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় নগরী জসেও পুলিশ বিক্ষুব্ধ মুসলিম তরুণদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। অপরদিকে, দেশটির মুসলিম প্রধান উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় ব্যাপক মার্কিন বিরোধী বিক্ষোভের পাশাপাশি সেখানে মার্কিন পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

পাকিস্তানেও হাজার হাজার মুসলিম শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করেছেন। এসময় তারা যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী স্লোগান দেয়। তবে রাজধানী ইসলামাবাদে পুলিশ মার্কিন দূতাবাসের চারপাশে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

আফগানিস্তানে পূর্বাঞ্চলীয় নগরী জালালাবাদে কয়েক হাজার আফগান ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেয় তারা।

এদিকে, আরব বিশ্বে সংঘটিত এ সহিংস প্রতিবাদ বিক্ষোভ আরব বসন্তের পর দেশগুলোতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় আসা সরকারগুলোর জন্য নয়া দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে।

পাশাপাশি নির্বাচনের আর মাত্র দুই মাস বাকি থাকতে এ পরিস্থিতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্কট আরও বাড়িয়ে দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মুসলিম বিশ্বে মার্কিন বিরোধী মনোভাব জোরদার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওবামার রক্ষণশীল প্রতিদ্বন্দ্বী রমনি এটিকে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম বিরোধী মনোভাব উস্কে দিয়ে এর ফায়দা লোটার চেষ্টা ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, দেশে দেশে মার্কিন দূতাবাসগুলোতে হামলার বিরুদ্ধে তার সরকার শক্ত অবস্থান গ্রহণ করবে। লিবিয়ায় নিহত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্রিস স্টিভেন্সসহ অপর তিন মার্কিন দূতাবাস কর্মীর শেষকৃত্যে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই লিবিয়ার উপকূলে তাদের দু’টি যুদ্ধজাহাজ প্রেরণ করেছে।

উল্লেখ্য, নাইন ইলেভেন হামলার একাদশ বার্ষিকীতে ইসলাম বিরোধী চলচ্চিত্র প্রকাশের জেরে লিবিয়ার বেনগাজীতে বিক্ষুদ্ধ জনতা মার্কিন কনস্যুলেটে হামলা চালালে নিহত হন রাষ্ট্রদূত ক্রিস স্টিভেন্সসহ অপর তিন মার্কিন দূতাবাস কর্মী।

‘ইনোসেন্স ইন মুসলিম’ নামের যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত ওই চলচ্চিত্রটির পরিচালক একজন মার্কিন ইহুদি। তবে ধারণা করা হচ্ছে এতে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী কয়েকজন মিসরীয় কপটিক খ্রিস্টান।

এদিকে, ওবামার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন তার বিবৃতিতে দাবি করেন– ইন্টারনেটে প্রচারিত ওই জঘণ্য ভিডিও চিত্রের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। একই সঙ্গে তিনি দেশে দেশে মার্কিন দূতাবাসগুলোতে হামলার নিন্দা জানান।

অপরদিকে, মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি জাতীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে দূতাবাসে হামলা না চালানোর জন্য মিশরীয়দের প্রতি আহবান জানান। গত কয়েকদিনের বিক্ষোভে নীরবতা পালন করলেও এই প্রথমবার এ ব্যাপারে জনসম্মুখে কোনো বিবৃতি দিলেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট মুরসি বলেন,  “ইসলামে মেহমানদের সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।” পাশাপাশি লিবিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্রিস স্টিভেন্সের হত্যাকে অগ্রহণযোগ্য বলে আখ্যা দেন তিনি। ওবামার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার অল্প সময় পর এ ভাষণ দেন মুরসি।

তবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে মুরসি তার নিজের দেশের চরমপন্থিদের চাপের মুখে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তারা এ চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভকে ব্যবহার করে নিজেদের অবস্থান সংহত করার চেষ্টা করছে।

ইতিমধ্যেই মিসরের চরমপন্থি একটি সংগঠন আলেকজান্দ্রিয়া নগরীতে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য মুরসির প্রতি আহবান জানান।

এদিকে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ শুক্রবার দেওয়া এক বিবৃতিতে বিভিন্ন দেশে দূতাবাসে হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, দূতাবাসগুলোর কর্মকাণ্ড শান্তিপূর্ণ এবং কূটনীতিকরা মূলত সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে নিজ নিজ দেশের সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য কাজ করে থাকেন।

তবে বিক্ষুদ্ধ প্রতিবাদকারীরা কারও কথায় কান না দিয়ে শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাস্তায় বেরিয়ে আসে। অনেক ধর্মীয় নেতা ইসলামের অবমাননার প্রতিবাদে জনগণকে বিক্ষোভে অনুপ্রাণিত করেন।

তারা দাবি করেন, ইনোসেন্স ইন মুসলিম চলচ্চিত্রটি যুক্তরাষ্ট্রে নির্মাণ করা হয়েছে এবং এতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সহ মহান ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে, তাই যুক্তরাষ্ট্র এর দায় এড়াতে পারে না।

এদিকে, সারাবিশ্বে মার্কিন বিরোধী বিক্ষোভ জোরদার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়ে ৫০টিরও বেশি মার্কিন দূতাবাসকে সর্তক করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এসব দেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদেরও চলাফেরায় সর্তকর্তা অবলম্বনের জন্য সাবধান করে দেওয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ