মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও দেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক ফিন্যানসিয়াল ইনটেলিজেন্স সংস্থা এগমন্ট গ্রুপের সদস্য হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেতে আগামী বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, এগমন্ট গ্রুপের সদস্য হতে পারলে এ গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত বিশ্বের শতাধিক দেশের সঙ্গে কোনো সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি স্বাক্ষর ছাড়াই মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অর্থায়ন ও দুর্নীতি সম্পর্কিত তথ্য এবং মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স পাওয়া যাবে। এ ধরনের সহযোগিতা পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে অত্যন্ত সহায়ক হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধে এরইমধ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ (বিএফআইইউ) নামে একটি স্বতন্ত্র ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এ ইউনিটের কাজে সার্বিক সহযোগিতা দিতে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সমন্বয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব-কে প্রধান করে একটি ‘ওয়ার্কিং কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন ও দুর্নীতি সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়ে বিএফআইইউ এরই মধ্যে ১৩টি দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে এবং আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এরইমধ্যে যেসব দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে – যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, কম্বোডিয়া, আফগানিস্তান, মঙ্গোলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ড।
সূত্রমতে, দেশ থেকে বিদেশে পাচারকৃত অর্থ এরইমধ্যে কোন কোন দেশে পাচার করা হয়েছে এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এখনো সরকারের কাছে নেই। তবে সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য সরকারের হাতে রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে ওই অর্থ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।