প্রধানমন্ত্রীর আশাবাদ ফের ক্ষমতায় এসে রেকর্ড ভঙ্গ করবে আওয়ামী লীগ

প্রধানমন্ত্রীর আশাবাদ ফের ক্ষমতায় এসে রেকর্ড ভঙ্গ করবে আওয়ামী লীগ

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একাধারে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে রেকর্ড ভঙ্গ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের একাধিক নেতা বাংলানিউজকে জানান, শেখ হাসিনা সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, বলা হয়, কোনো দল একবারের বেশি একাধারে পর পর দুই বার ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো দলের পর পর দুই বার ক্ষমতায় আসার রেকর্ড নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ এবার একাধারে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ করবে।

সূত্র আরো জানায়, বৈঠকে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে তুলে ধরার জন্য সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘‘আমরা সত্য ও ন্যায়ের পথে আছি। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সাহস রাখতে হবে, সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’’

‘‘ষড়যন্ত্র অতীতেও হয়েছে, আগামীতেও হতে পারে। ভেতরে-বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হতে পারে। ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে সতর্ক থাকতে হবে।’’

তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

দুনীতি দমন কমিশনের তদন্তের স্বার্থে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তিমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করেছেন বলেও প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে জানিয়েছেন।

সূত্র আরো জানায়, বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি পদ্মাসেতু নির্মাণের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘‘পদ্মাসেতুর ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক নানা শর্ত দিচ্ছে, যা সরকারের পক্ষে পূরণ করা সম্ভব না।’’

‘‘তবে পদ্মাসেতু হবেই। পদ্মাসেতু আমরাই করবো।’’

‘‘বিশ্বব্যাংকের চুক্তি বাতিলের পেছনে ড. ইউনূসের হাত থাকতে পারে। ইউনূসকে আইনের দ্বারাই গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরে যেতে হয়েছে। একজনের জন্য ব্যাংকিং আইন পরিবর্তন করা সম্ভব না।’’

এ সময় সৈয়দ আশরাফ হলমার্ক কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেছেন, এ ঘটনার সঙ্গে দলের লোক হোক আর বাইরের লোক হোক, যারাই জড়িত থাকুন না কেন কেউ পার পাবেন না।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত এ বৈঠক চলে।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ