1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৩ অপরাহ্ন

হলমার্ক কেলেঙ্কারি জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১২
  • ৭৯ Time View

সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হলমার্ক কোম্পানির কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সোনালী ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পর্ষদ সভা সূত্র জানায়, মহাব্যবস্থাপক এবং এর নিচের পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। জবাব গ্রহণযোগ্য না হলে বরখাস্তসহ সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিগগিরই এ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
তবে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (ডিএমডি) নিয়োগ দেয় সরকার। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পর্ষদ অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে চিঠি দেবে।

সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে হলমার্ক গ্রুপ নামের এ কোম্পানির সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষাতেই প্রথম ধরা পড়ে।

পর্ষদের সভা শেষে এ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার দত্ত জানান, ‘‘অভ্যন্তরীণ তদন্ত ও নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহে শুরু হবে।’’

তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রতিবেদনে ৪১-৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে। তাঁরা রূপসী বাংলা শাখা ও প্রধান কার্যালয়সহ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত। জালিয়াতির সঙ্গে যাঁদের সম্পৃক্ততা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হবে, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাঁদের সবার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অর্থ জালিয়াতির ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের তত্কালীন এমডি হুমায়ুন কবিরসহ ৪১-৪২ জন কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে সোনালী ব্যাংকে নিয়োজিত একটি নিরপেক্ষ তদন্তে এসব কর্মকর্তার নাম বেরিয়ে আসে ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরীক্ষাতে জালিয়াতির ঘটনাটির বিস্তারিত প্রকাশ পায়। ব্যাংক নিযুক্ত একটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্মের করা সর্বশেষ নিরীক্ষায় সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তার শৈথিল্যকে এর জন্য দায়ী করা হয়।

নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, কেবল নির্ধারিত অভ্যন্তরীণ তদন্ত দেরিতে শুরু করার কারণেই হলমার্ক গ্রুপ ও বেনামে আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়মবহির্ভূতভাবে এক হাজার ৮৬০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

গত মে মাস পর্যন্ত হলমার্ক ও একই মালিকানার অন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে একটি মাত্র শাখা থেকেই তিন হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিন হাজার ৬০৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই। এই অর্থের মধ্যে দুই হাজার ৬৬৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা একাই নিয়েছে হলমার্ক গ্রুপ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ