1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:২৬ পূর্বাহ্ন

‘প্রত্যাখ্যাত হব না, নিশ্চিত হলে বিশ্ব ব্যাংককে চিঠি’

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৪ আগস্ট, ২০১২
  • ৭৮ Time View

পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা এখনো চলছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আশা প্রকাশ করেছেন, এ ক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যাত না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলে সংস্থাটিকে চিঠি দেওয়া হবে।

তবে বিশ্ব ব্যাংকের ফিরে আসার বিষয়ে সরকার কতটা আশাবাদী, তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন তিনি।

ঈদের ছুটি শেষে মন্ত্রী বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “এখন এটুকু বলতে পারি, পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আশা করি, তারাই এতে অর্থায়ন করবে।”

“আলোচনা চলমান থাকায় আমি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে এটুকু বলতে পারি, তাদের এ চুক্তি বাতিল করা অন্যায় হয়েছিল,” বলেন তিনি।

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত জুন মাসে বিশ্ব ব্যাংক দেশের সবচেয়ে বড় নির্মাণ প্রকল্প পদ্মা সেতু থেকে সরে দাঁড়ায়। এরপর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিলেও অর্থমন্ত্রী বিশ্ব ব্যাংককে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

২৯০ কোটি ডলারে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্ব ব্যাংকের ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা ছিল। বাকি অর্থের বেশিরভাগ দেওয়ার কথা এডিবি, আইডিবি ও জাইকার।

বিশ্ব ব্যাংকে ফেরানোর চেষ্টার বিষয়ে মুহিত বলেন, “তারা অর্থায়ন করলে এ নিয়ে আমাদের যে ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে, তা পুনরুদ্ধার হবে।”

বিশ্ব ব্যাংককে কোনো চিঠি দেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “চিঠি তখনি দেওয়া হবে, যখন বুঝব আমাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হবে না।”

গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুর্নীতির অভিযোগ তোলার পর কয়েকটি শর্ত সরকারকে দিয়েছিল বিশ্ব ব্যাংক। তা পালন হয়নি বলে অভিযোগ জানিয়ে অর্থায়ন বাতিল করে তারা।

তবে অর্থায়ন বাতিলের পর এই প্রকল্প নিয়ে অভিযোগের মুখে থাকা মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করেন। সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসাইনও ছুটিতে যান।

বিশ্ব ব্যাংকের শর্তপূরণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়ে যেটুকু করার এর সবটুকুই করা হয়েছে। এর বাইরে এ বিষয়ে অন্য কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে পারব না।”

ঈদের ছুটির আগে গত ১৪ অগাস্ট অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, “বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন সংস্থার ভারত-বাংলাদেশ-নেপালের নির্বাহী পরিচালক এম এন প্রসাদ (ভারতের সাবেক মুখ্য সচিব)। এডিবি ও জাইকাও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছে।”

বিশ্ব ব্যাংক সদর দপ্তরে বাংলাদেশের বিকল্প পরিচালক মোহাম্মদ তারেকও আলোচনা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছিলেন মন্ত্রী।

বিষয়টি সুরাহার করতে ওয়াশিংটন যাবেন কি না- জানতে চাইলে মুহিত বলেন, “অবশ্যই যাব। তবে মনে হয় এর প্রয়োজন হবে না।”

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ