বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ে তোলার কথা বলে আসছেন গভর্নর ড. আতিউর রহমান। ইতোমধ্যে দায়িত্ব নেওয়ার তিন বছর পেরিয়ে গেছে।
গত মে মাসে শুরু করেছেন মেয়াদের শেষ বছর। মানবিক ব্যাংকিং খাতও গড়ে তোলার কথা বলেন তিনি। কতটুকু সফল হয়েছেন তা জানতে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে গ্রামীণ অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র জানতে চান।
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির কথা বলেছি। দেখতে দেখতে তিন বছর চলে গেলো। এবার প্রাপ্তি মূল্যায়ন করে দেখার সময় এসেছে। গ্রামীণ অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র জানতে চাই।”
এ ব্যাপারে গভর্নর সচিবালয়েল মহাব্যবস্থাপক এএফএম আসাদুজ্জামান বলেন, “ঈদকে কেন্দ্র করে পেশাজীবী মানুষ এখন গ্রামে অবস্থান করছেন। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামে গেছেন ঈদের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে। এর মধ্যে যেমন বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা রয়েছেন। রয়েছেন বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা। একই ভাবে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও গ্রামে গেছেন। রয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা। সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত অর্থনীতি বিভাগের প্রতিবেদকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাদের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র আমরা জানতে চাই।”
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি নিয়ে বিগত তিন বছর ধরে কাজ করছে। আমরা চাই, সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা গ্রাম ঘুরে এসে তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরুক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। যাতে করে বাংলদেশ ব্যাংক তার পরবর্তী করনীয় ঠিক করতে পারে।”
আসাদুজ্জামান বলেন, “যে কোনো লিখিতভাবে এই মূল্যায়ন আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন। সরাসরি যেমন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয়ে এসে দেওয়া যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক কৃতজ্ঞতার সঙ্গে সেটি গ্রহণ করবে। আবার ই-মেইল, কুরিয়ার ও ফ্যাক্সের মাধ্যমেও পাঠাতে পারবেন।”
মূল্যায়ন পাঠানোর ঠিকানা
মহাব্যবস্থাপক, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর সচিবালয়, মতিঝিল, ঢাকা। ইমেইল: afm.asad@bb.org.bd/afm.asad@gmail.
ফ্যাক্স- ০২-৭১২০৬৭৮। ফোন: ০১৭১১-৫৬৪৬৮০।