1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১০ অপরাহ্ন

সাঈদীর আবেদন খারিজ, ২৮ আগস্ট সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১২
  • ৬৮ Time View

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষের সাক্ষীদের সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ আগামী ২৮ আগস্ট থেকেই শুরু হবে। তার পক্ষের ২০ জন সাক্ষীর তালিকা রোববার জমা দিতে আসামিপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

সাক্ষীদের তালিকা বৃহস্পতিবার জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা জমা না দিয়ে এ বিষয়ে দেওয়া ট্রাইব্যুনালের আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন জানান সাঈদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। একই সঙ্গে সাঈদীর শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে মেডিকেল রিপোর্ট দেওয়া ও রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সাঈদী ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য শারীরিকভাবে সক্ষম কিনা, তা পরীক্ষা করারও আবেদন জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার সকালে আবেদনটি ফাইল করার পর দুপুর ২টায় শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আবেদনগুলো খারিজ করে দিয়ে পূর্বনির্ধারিত ২৮ আগস্ট থেকে সাঈদীর পক্ষের সাফাই সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী রোববার সাঈদীর পক্ষের ২০ জন সাক্ষীর তালিকা জমা দিতে আসামিপক্ষকে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

শুনানিতে আবেদনের সপক্ষে সাঈদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় পাইনি। অভিযুক্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সব সময়ই ট্রাইব্যুনালে থেকেছেন। তিনি বিচারকাজ বুঝতে চেষ্টা করেছেন। সাফাই সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের সময়ও তার থাকা প্রয়োজন। আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। তাই তালিকা জমা দেওয়ার পূর্ব নির্ধারিত তারিখ বৃহস্পতিবার থাকলেও জমা দিতে পারছি না। এজন্য আমাদের সময় প্রয়োজন।’’

‘‘এছাড়া আসামি ট্রাইব্যুনালে আগামীতে থাকতে পারবেন কিনা, তা জানতেও তার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে মেডিকেল রিপোর্ট প্রয়োজন।’’

এ সময় ট্রাইব্যুনাল অসামিপক্ষকে বলেন, ‘‘আপনারা ২০ জন না পারেন, ৫ জন সাক্ষীকে আনুন। আগে তো শুরু করুন। পরে আস্তে আস্তে সাক্ষীদের সংখ্যা বাড়ান।’’

এ আবেদনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, ‘‘বিচারের এ পর্যায়ে এসে আর সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই।’’

উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হওয়ার পর ১৪ আগস্ট এক আদেশে ২৩ আগস্ট সাঈদীর পক্ষের ২০ জন সাক্ষীর তালিকা ট্রাইব্যুনালে জমা দিতে সাঈদীর আইনজীবীদের আদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিপক্ষের দেওয়া ৪৮ জন সাক্ষীর তালিকা থেকে সাক্ষীর সংখ্যা ২০ জন নির্ধারণ করে দিয়ে ওই আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

একই আদেশে ২৮ আগস্ট থেকে সাঈদীর পক্ষের সাফাই সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করার নির্দেশও দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।

এ আদেশের বিষয়ে আদালত বলেছিলেন, সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ২০টি। রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেওয়া ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, ৭ জন জব্দ তালিকার সাক্ষী এবং ১ জন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এমতাবস্থায় যদি সাঈদীর পক্ষেও ২০ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়, তাহলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট শেষ হয় সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং আসামিপক্ষের জেরা। সাঈদীর বিরুদ্ধে তালিকাভুক্ত মোট ২০ জন প্রত্যক্ষদর্শী এবং জব্দ তালিকা থেকে আরো ৭ জন মিলিয়ে ২৭ জন এবং তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ২৮ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। বাকি আরো ৪৬ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৫ জন ও পরে আরো একজনসহ মোট ১৬ জন সাক্ষীর তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিকেই সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর দায়ের করা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে তার রাজধানীর শহীদবাগের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর তাকে ২ আগস্ট মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

গত বছরের ১৪ জুলাই সাঈদীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল। ৩ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৯ নভেম্বর থেকে সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা।

সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠন করা অভিযোগ এবং ৭৭ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন ও আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিন হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা বা হত্যায় সহযোগিতা, নয় জনেরও বেশি নারীকে ধর্ষণ, বিভিন্ন বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, ভাঙচুর এবং একশ’ থেকে দেড়শ’ হিন্দুকে ধর্মান্তরে বাধ্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ