1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

ইব্রাহিম খালেদের বিরুদ্ধে করা রিট খারিজ

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৪ আগস্ট, ২০১২
  • ৭২ Time View

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করা ও পুঁজিবাজার তদন্ত কমিটির কর্মপরিধির বাইরে কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তার বক্তব্য নিয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত জারি করা রুলে চূড়ান্ত শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি খারিজ করে দেন।

আদালতে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকটে প্রবীর নিয়োগী, শুভ্র চক্রবর্তী ও মানজুর আল মতিন। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন, কাজী আখতার হামিদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।

রায়ের পরে প্রবীর নিয়োগী জানান, এ রায়ের ফলে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বেআইনি কোনো কিছু করেন নি বলেই প্রমাণিত হয়েছে। আর তিনি এমন কোনো ফৌজদারি অপরাধ করেন নি, যার কারণে বিষয়টি তদন্তের জন্য দুদকে পাঠানো যায়।

গত বছরের ২৬ জানুয়ারি পুঁজিবাজারে অস্থিরতার কারণ অনুসন্ধানে কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে সরকার । ওই কমিটি গত বছরের ৭ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে।

ওই বছরের এপ্রিল মাসে দৈনিক আমাদের সময়ের দুটি প্রতিবেদনের সূত্র ধরে এবং প্রতিবেদনটি বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশিত হওয়ার পর তিন আইনজীবী রিট করে।
ওই দুটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিলো, “ইব্রাহিম খালেদের কোম্পানি ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি পেতে জালিয়াতি করেছিলো” এবং “ইব্রাহিম খালেদের স্বীকারোক্তি, `আমি ব্যাংকের নিয়ম ভেঙে বন্ধুকে টাকা দিয়েছিলাম`।”

এরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৯ মে হাইকোর্ট রুল জারি করে।

রুল জারির শুনানিতে আখতার হামিদ বলেন, “সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইনের ১৯ ধারা এবং অর্থ অধিকার আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। কিন্তু ইব্রাহিম খালেদ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও আইন লঙ্ঘন করে গোপন প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।”

“তা ছাড়া প্রতিবেদনে কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ওই সব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না এনে ঢালাও অভিযোগ আনা হয়। যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

এ বিষয়ে প্রবীর নিয়োগী বলেন, শুধু খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ এ প্রতিবেদন তৈরি করেন নি। কমিটি আরো তিনজন সদস্য ছিলেন। সবাইকে একসাথে ৭ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন পেশ করেছিলেন। আর প্রতিবেদন ইব্রাহিম খালেদ প্রকাশ করেন নি। কেননা প্রতিবেদনটি জনসমক্ষে প্রকাশের জন্য একই মাসের ১৮ তারিখ রিট করেন। এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত যুক্তিসঙ্গত সময়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে বলেন। এরপর সরকার তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ