1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন

ঈদ করা হবে না বেস্ট এয়ারের ২৫০কর্মীর

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৩ আগস্ট, ২০১২
  • ৭০ Time View

রিয়াদ আল ফাহাদ চাকরি করেন বেসরকারি বিমান সংস্থা বেস্ট এয়ারে। অন্য একটি চাকরি ছেড়ে তিনি এয়ারলাইন্সে এসেছিলেন অনেক স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু তার স্বপ্ন নি:শেষ হয়ে গেছে। আজ ৪মাস ধরে বেতন পান না। অথচ কিছুদিন আগেই সন্তানের পিতা হয়েছেন তিনি। সন্তান, স্ত্রী ছাড়াও তার বাবা-মা তার সঙ্গেই থাকেন। বেতন না পাওয়ায় ধার দেনা করে কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছেন। এখন রোজা চলছে। সামনে ঈদ। স্ত্রী, সন্তান ও বাবা-মাকে নিয়ে তার ঈদও করা হবে না।

রিয়াদ আল ফাহাদই শুধু নয়, তার মতো আরো ২৬০ জন কর্মী কাজ করছেন এই এয়ারলাইন্সে। সবারই একই অবস্থা। কবে বেতন বোনাস হবে তাও কেউ জানেন না। বেতন না হওয়ায় সবারই জীবন কাটছে চরম কষ্টে।

ডেসটিনি গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বেস্ট এয়ার। ২০১০ সালে ডেসটিনি গ্রুপ বন্ধ হয়ে যাওয়া এই এয়ারলাইন্সটি কিনে নেয়। এরপর দ্রুততার সঙ্গে এয়ারলাইন্সটি অপারেশনে যেতে কাজ শুরু করে। এ পর্যন্ত বেস্ট এয়ার ১২ জন বৈমানিক, ৩৪ জন কেবিন ক্রুসহ সবমিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক লোক নিয়োগ দেয়।

বেস্ট এয়ার কর্তৃপক্ষ বৈমানিকদের এটিআর ৭২ উড়োজাহাজের প্রশিক্ষণের জন্য আয়ারল্যান্ড পাঠায়। তারা প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে আসেন গত নভেম্বরে। এরপর কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সঙ্গে উড়োজাহাজ লিজে আনার উদ্যোগের কাজ শুরু হয়। চলতি জুলাই মাসের মধ্যে এয়ারলাইন্সটির বহরে উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার কথা ছিল।

গত মে মাসে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংক ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালকসহ সব ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশের পরও বেস্ট এয়ারের কর্মীদের বেতন ভাতা নিয়মিতই হতো। এ সম্পর্কে রিয়াদ আল ফাহাদ বলেন, ২০১১ সালের নভেম্বরে বেস্ট এয়ারে যোগদানের পর প্রতি মাসের ২৫ তারিখে বেতন পেতেন সবাই।

বেস্ট এয়ার সূত্রে জানা গেছে, ডেসটিনির হিসাব বন্ধ হওয়ার পরেও তাদের বেতন ভাতা নিয়মিত হতো। শেষ পর্যন্ত সরকার বেস্ট এয়ারের হিসাব জব্দ হওয়ার পর থেকেই মূলত বেতন বন্ধ হয়ে যায়।

এরই মধ্যে বৈমানিকদের প্রশিক্ষণের লাইসেন্সের মেয়াদও শেষ গেছে। এয়ারলাইন্সের সিইও রিকি ফ্রিক এসব অনিশ্চয়তার মধ্যে দুই মাসের ছুটি নিয়ে নিজ দেশ যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন।

বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কেবিন ক্রু, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন বিভাগ থেকে ২০/২৫ কর্মী বেস্ট এয়ার ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কর্মীদের সবাই বেতনের আশায় এক মাস, দুই মাস করে চার সময় কাটিয়ে দিয়েছেন। তবু বেতনের নিশ্চয়তা মিলছে না।

শুধু তা-ই নয়, অর্থাভাবে বেস্ট এয়ারের গাড়ি বন্ধ হয়ে গেছে, বিদ্যুৎ লাইনও যেকোনো সময় কেটে দিতে পারে।

এ বিষয়ে বেস্ট এয়ারের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) ক্যাপ্টেন আনিস বলেন, বেস্ট এয়ারে চাকরি করে আমরা কি ভুল করেছি। এখানকার কোনো কর্মীতো দোষ করেনি। তাহলে কেন এই প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে কর্মীদের বিপদে ফেলা।

ঈদের আগে এই প্রতিষ্ঠানের সবাই যাতে সব বকেয়া বেতনসহ বোনাস পান সেজন্য সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ