1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৫৩ অপরাহ্ন

কঙ্গোতে সেনা-বিদ্রোহী লড়াই অব্যাহত

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৮ জুলাই, ২০১২
  • ৬৩ Time View

কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় পাবর্ত্য এলাকায় তৃতীয় দিনের মতো সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে। রুয়ান্ডার সীমান্তবর্তী কঙ্গোর গোমা শহরের চারপাশের গ্রামগুলোতে বর্তমানে লড়াই চলছে বলে জানা গেছে।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর হেলিকপ্টার গানশিপের সমর্থনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে সরকারি সেনারা।

কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের একটি পাবর্ত্য গরিলা অভয়াশ্রমের নিকটবর্তী কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সেনা গ্যারিসনকে কেন্দ্র করে লড়াই ঘনীভূত হয়েছে বলে জানা গেছে। লড়াই তীব্র হওয়ার প্রেক্ষিতে উপদ্রুত এলাকার হাজার হাজার জনগণ প্রাণভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।

তিন মাস আগে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় বিদ্রোহী এম ২৩ বাহিনী তাদের তৎপরতা শুরু করে। প্রতিবেশী রুয়ান্ডা বিদ্রোহীদের সহায়তা করছে বলে জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো অভিযোগ করে আসছে।

বিদ্রোহীদের অপতৎপরতায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে রুয়ান্ডাকে প্রতিশ্রুত ৬০ লাখ ডলারের বেশি পরিমান অর্থ সাহায্য প্রদান স্থগিত করেছে হল্যান্ড। এর এক সপ্তাহ আগেই রুয়ান্ডাকে  সামরিক সহায়তা প্রদান বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

তবে বিদ্রোহীদের ইন্ধন দেওয়ার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করেছে রুয়ান্ডা। কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে তৎপর এম ২৩ বিদ্রোহীদের রুয়ান্ডা সহায়তা করছে বলে জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে জাতিসংঘের বেতার জানিয়েছে বিদ্রোহীরা বৃহস্পতিবার রুমানগাবো সেনা শিবিরে হামলা চালিয়েছে। বিদ্রোহীদের কবল থেকে বুধবার এ সেনা শিবিরটি দখল করে নিযেছিলো সরকারি বাহিনী।

এছাড়া বিদ্রোহীরা এখনও রুতসুরু শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। কঙ্গোর সেনা মুখপাত্র মেজর অলিভিয়ার হামুলি বলেন, সরকারি সেনারা রুতসুরু থেকে কৌশলগত পশ্চাদপসারণ করেছে। বেসামরিক লোকের রক্তপাত এড়াতেই তারা সেখান থেকে সরে এসেছে বলে জানান তিনি।বৃহস্পতিবার বিদ্রোহীরা কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান শহর গোমার ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসে।

এম ২৩ বিদ্রোহীরা যুদ্ধ ক্ষেত্রে মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত। র্ধষণ, শিশুদের বলপূর্বক বাহিনীতে নিয়োগের পাশাপাশি লুটপাটের অসংখ্য ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়।

সংঘাত শুরুর পর এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৬০ হাজার বেসামরিক নাগরিক তাদের বাড়ি ঘর ত্যাগ করে উদ্বাস্ত শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে সীমান্ত অতিক্রম করে উগান্ডা কিংবা রুয়ান্ডায় আশ্রয় নিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ