1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন

ইউল্যাব শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ-হত্যা: ভুক্তভোগীর বন্ধু তাফসীর কারাগারে

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
  • ৩৫ Time View

রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার ভুক্তভোগীর বন্ধু নুহাত আলম তাফসীরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত এই আদেশ দেন। এদিন আসামি তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার কারাগারে আটক রাখার জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. সাজেদুল হক আবেদন করেন। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি শাফায়াত জামিল জামিন চেয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর গত শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালত এ মামলায় গ্রেফতার বান্ধবী ফারজানা জামান নেহার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। একইদিন আসামি মুর্তুজা রায়হান চৌধুরী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। তারপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি আদালত এ মামলায় মুর্তুজা রায়হান চৌধুরী ও নুহাত আলম তাফসীরের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। আরাফাতের বাসায় স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’মদপান করান।

মামলার এজাহারে আরো বলা হয়, মদ্যপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিল।

ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে ওই তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত ৩০ জানুয়ারি তিনি মারা যান।

ওইদিন রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় নিহত তরুণীর বাবা বাদী হয়ে চার জনসহ অজ্ঞাত আরো একজনের নামে মামলা করেন। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ