মিয়ানমারে সারা দেশ থেকে ২০ জনেরও বেশি ছাত্র নেতাকে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ। দেশটির গণতন্ত্রপন্থি কর্মীরা শনিবার জানিয়েছেন, ৫০ বছর আগে ৭ জুলাই নিষ্ঠুরভাবে ছাত্র আন্দোলন দমনের বার্ষিকী পালনকে কেন্দ্র করে এ ছাত্রনেতাদের আটক করা হয়েছে।
মিয়ানমারে সেনা সমর্থিত সরকার গত বছর রাজনৈতিক সংস্কার শুরুর পর বিরোধীদের ওপর ক্ষমতাসীনদের এটিই সবচে কঠোর দমনমূলক পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে ছাত্রনেতাদের আটক এবং সারা দেশে সাদা পোশাকের পুলিশ নিয়োজিত সত্ত্বেও এদিন ইয়াঙ্গুনে প্রায় তিনশ’ মানুষ জড়ো হয় বলে জানা গেছে। ছাত্র আন্দোলন দমনের সেই কলঙ্কিত দিনটিকে স্মরণ করতে মানুষ এখানে জড়ো হয়।
এদিকে সরকারের এমন আচরণে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ার আন্তরিকতা ও গভীরতা নিয়েই অনেকে এখন প্রশ্ন তুলেছেন। প্রেসিডেন্ট থেইন সিনের নেতৃত্বে সংস্কার শুরু করার আগে পর্যন্ত এ দেশটি বিশ্বের সবচে নিষ্ঠুর বিরোধীনিপীড়ক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিল। এখন শনিবারের ঘটনা এই সংস্কারবাদী প্রেসিডেন্টের সক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে।
মানবাধিকার ও রাজনীতির সক্রিয় কর্মীরা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্র নেতাদের আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ইয়াঙ্গুন থেকে আটক হয়েছে পাঁচ জনকে। আটকদের মধ্যে বার্মা স্টুডেন্টস ইউনিয়নের প্রধান ফিও ফিও অং রয়েছেন বলে জানা গেছে।
৭ জুলাই মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার কর্তৃক ছাত্র আন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে দমন করার ৫০তম বার্ষিকী।
জেনারেল নে উইন সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের চার মাসের মাথায় একটি ছাত্র বিক্ষোভে নির্যাতন চালানোর সেই কলঙ্কজনক ঘটনাটি ঘটে। এর পর দীর্ঘ পাঁচ দশক চলেছে এ দমনমূলক শাসন।
৫০ বছর আগের সেই দিন আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর সরকারি বাহিনীর হামলায় অনেক ছাত্র নিহত হয়। এর কয়েকদিন পর রেঙ্গুন ইউনিভার্সিটির ছাত্র ইউনিয়ন ভবন গুড়িয়ে দেওয়া হয়।