1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন

বেড়েছে রসুন, পেঁয়াজ, আদা ও মরিচের দাম, কমেছে মুরগি-ডিমের দাম

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৭ জুলাই, ২০১২
  • ৮৭ Time View

রমজান মাসের এখনো ১৪ দিন বাকি থাকতে রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তে শুর করেছে। বিদেশ থেকে যে সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমাদের দেশে আসে, সে সমস্ত পণ্যের দামও বাড়তির দিকে। তবে মুরগি এবং ডিমের দাম কমেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, শুক্রবার সব পণ্য বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। দুই দিনের ব্যবধানে দেশি ও বিদেশি সব ধরনের রসুনের দাম বেড়েছে। মাত্র দুই দিন আগে যে দেশি রসুনের দাম ছিল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজি এখন সেই রসুন বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬০ টাকা করে। এছাড়া গত সপ্তাহের ৮৫ টাকার বিদেশি(চীনা) রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি।

কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ২ থেকে ৩ টাকা করে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ ৩২ থেকে ৩৩ এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ২৩ থেকে ২৪ টাকা দরে।

মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দামও প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা করে। ৫০ টাকার আদা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি।

কাঁচা-শুকনা সব ধরনের মরিচের দামও বাড়তির দিকে। শুকনা মরিচের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০ টাকা করে, বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি। কাঁচা মরিচও বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে প্রতি কজি ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকায়।

রাজধানীর শ্যামবাজারে গিয়ে জানা গেছে, সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ, পণ্য বন্দর থেকে খালাসের সময় অতিরিক্ত ভ্যাট দিতে হচ্ছে। সেজন্য সব ধরনের আমদানিকৃত পণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী।

শ্যামবাজারের মেসার্স শাহ পরান বাণিজ্যালয়ের হিসাবরক্ষক বিপ্লব সাহা বলেন, বন্দর থেকে পণ্য খালাসের জন্য এখন টাকা গুণতে হচ্ছে প্রতি কন্টেইনারে সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকা। যা আগে ছিল মাত্র এক লাখ থেকে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা। প্রতি কন্টেইনারে পণ্য আসে ২৬ থেকে ২৭ টন।

এজন্য সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ছে বলে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘‘জুলাই মাস থেকে আমাদের এ আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার যদি আমাদের ওপর থেকে করের বোঝা কমায়, তা হলে সবাইকে কম দামে পণ্য সরবরাহ করতে পারবো’’

তবে কারওয়ানবাজার এবং নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুরগি এবং ডিমের দাম কমেছে।

ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা থেকে ১৭৫ টাকা কেজি। লাল ডিম ৩৬ টাকা, দেশি সাদা ডিম ৪০ টাকা এবং হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা প্রতি হালি।

ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে আগের দরেই। প্রতি লিটার বোতলজাত তেল ১৩৫ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১২১ টাকা ও খোলা পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৮ টাকায়। ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৬৭০ টাকায়।

কাঁচাবাজারে গরুর মাংস সরকারের বেধে দেওয়া দামে বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা প্রতি কেজি।

তবে সব ধরনের মাছের দাম আগের সপ্তাহের মতোই কম।

এদিকে আবারো বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের ডালের দাম। বাজারভেদে প্রতি কেজি মশুর ডাল ১০৫ থেকে ১০৮ টাকা ও মুগ ডাল ১১০ টাকা থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঊড় দানার মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮২ টাকা থেকে ৮৫ টাকা প্রতি কেজি। খেসারির ডালের দাম ৫৪ টাকা থেকে ৫৫ টাকা কেজি।

তবে সবজির দাম গত সপ্তাহের মতোই আছে। রাজধানির বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু ২৪ টাকা, পেঁপে ২৯ থেকে ৩০ টাকা, টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, পটল ৩০ টাকা ও ঢ্যাঁড়স ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা।

সরকারিভাবে চিনি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও নিউমার্কেট এবং কারওয়ানবাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা দরে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ