1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন

‘তালা ভাঙার পর সুশান্তের ঘরের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি’, চাবিওয়ালার দাবি

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২০
  • ৩৩ Time View

সুশান্তের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য ক্রমশই দানা পাকাচ্ছে। ইতোমধ্যেই এই মৃত্যর তদন্তভার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে সিবিআই। সিবিআইয়ের কাছে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো এটা কি নিছকই আত্মহত্যা নাকি এর মধ্যে রয়েছে কোনও গভীর ষড়যন্ত্র? আর এই প্রশ্নের উত্তরের তার জড়িয়ে রয়েছে ১৪ জুন বান্দ্রার কার্টার রোডের মাউন্ট ব্লাঙ্ক অ্যাপার্টমেন্টে কী ঘটেছিল সেই ঘটনার উপর।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একাধিক সাক্ষাত্কারে সুশান্তের ফ্ল্যাট মেইট এবং রাঁধুনি নীরজ আগেই জানিয়েছে ১৪ জুনের সকালে শেষবার নীরজের সঙ্গেই কথা হয়েছিল সুশান্তের। জুসের গ্লাস হাতে নিয়ে বেডরুমের ভিতরে যান অভিনেতা। কলা খেতে চাইলেও সেটা সঙ্গে নেননি। এরপর দুপুরে কী রান্না হবে তা জানতে একাধিকবার সুশান্তের ঘরের দরজা ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভিতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। নীরজ, সুশান্তের অপর রাঁধুনি দীপেশ সিদ্ধার্থকে বিষয়টি জানায়। বেডরুমের অপর চাবিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কোনওরকম রাস্তা খুঁজে না পেয়ে, সুশান্তের বোন মীতু সিংকে ফোনে খবর দেয় তাঁরা। এবং বন্ধ দরজা খোলবার জন্য ফোন করে এক চাবিওয়ালাকে ডেকে পাঠান সিদ্ধার্থ পিঠানি।

চাবি খোলবার জন্য যাঁকে খবর দেওয়া হয়েছিল সেই মোহম্মদ রাফি শেখ অবশেষে মুখ খুলেছেন সংবাদমাধ্যমে। রিপাবলিক টিভিকে তিনি জানান, ১৪ই জুন তাঁর কাছে একটা ফোন আসে এবং তাঁকে সুশান্তের ফ্ল্যাটের ঠিকানা দিয়ে ডেকে পাঠানো হয় । তাঁকে জানানো হয় যিনি বন্ধ দরজার ওপাশে আছেন তিনি অনেকক্ষণ দরজা খুলছেন না । তাঁকে ফোন করা হলেই তিনি তাঁর জবাব দিচ্ছেন না।

দরজায় ডিজিটাল লক জানার পর তিনি হোয়াটসঅ্যাপে ছবি চেয়ে পাঠান। এবং প্রথমে অন্য একটি ঘরের তালার ছবি পাঠান পিঠানি, তিনি বলেন বন্ধ দরজার তালার ছবি পাঠাতে। সেখানে গিয়ে তিনি ঘুণাক্ষরেও কোনওরকম চাঞ্চল্য বা অস্বস্তি টের পাননি। বলেন ‘সকলেই ভীষণ স্বাভাবিক ছিল’। ভিতরে কোনও বৃদ্ধ ব্যক্তি রয়েছে বলেই অনুমান ছিল তাঁর। কোনও বলিউড তারকার বাড়ি এটি, তা জানা ছিল না বান্দ্রা এলাকার ওই চাবিওয়ালার।

তিনি সিদ্ধার্থকে জানান কম্পিউটারাউজ এই ডিজিটাল লকের চাবি বানাতে একঘণ্টা সময়ও লাগতে পারে তবে তালা ভাঙার কাজ ১৫-২০ মিনিটে হয়ে যাবে। তালা ভেঙে ফেলবার অনুমতি পেয়ে কাজ শুরু করলেও, মাঝে মধ্যেই তাঁর কাজ থামিয়ে দরজায় কান পেতে ভিতরে কোনও আওয়াজ আসছে কিনা শোনবার চেষ্টা করছিল পিঠানি ও অনান্যরা। মিনিট পনেরোর ভিতর তালা ভেঙে ফেলেন চাবিওয়ালা। কিন্তু দরজার হ্যান্ডেল নীচে নামিয়ে তাঁকে সেটি খুলতে দেননি সিদ্ধার্থ পিঠানি। টাকাপয়সা মিটিয়ে, একরকম সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় তাঁকে । আর তাঁর বয়ান থেকেই তৈরি হয়েছে নতুন রহস্য ।

চাবিওয়ালা জানিয়েছেন তাঁর তখন জানা ছিল না তিনি যার শোবার ঘরের দরজা ভাঙছেন তিনি আর কেউ নন , প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত । তবে বিকালবেলা সংবাদমাধ্যমে খবর দেখে তাঁর কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হয়। তিনি আফসোসের সুরে বলেছেন ‘আমি যদি জানতাম ভিতরে সুশান্ত সিং রাজপুত রয়েছেন কখনই পুলিশ না এলে ওই তালা ভাঙতাম না’।

তিনি আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন-যে সেদিন সুশান্তের ফ্ল্যাটে ঢুকতে কোনওরকম এন্ট্রি করতে হয়নি তাঁকে, কারণ গার্ড নিজের জায়গায় উপস্থিত ছিল না! এবং তিনি যোগ করেন ওই তালা ভিতর থেকে যেমন বন্ধ করা সম্ভব তেমনই বাইরে থেকে চাবির মাধ্যমে অবশ্যই লক করা সম্ভব।

শিগগির সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হবে এই চাবিওয়ালাকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিদ্ধার্থ পিঠানি ও বাকিদের বয়ানের সঙ্গে তাঁর বয়ান মিলিয়ে দেখবার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ