ভারতের মুম্বাইয়ে ২০০৮ সালের সন্ত্রাসী হামলা পরিকল্পনায় জড়িত প্রধান সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভয়াবহ ওই হামলায় ১৬৬ জন নিহত হয়।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণা সোমবার প্রধান সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের এ খবর জানান।
তার নাম আবু হামজা। জন্মসূত্রে ভারতীয় হামজা পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
মুম্বাই হামলার জন্য লস্কর-ই-তৈয়বাকে দায়ী করে আসছে ভারত।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর রাতের আঁধারে পাকিস্তান থেকে আসা ওই জঙ্গি হামলায় স্তম্ভিত হয়ে যায় ভারতীয়রা। এর জের ধরে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্মরণকালের সর্বনি¤œ পর্যায়ে নেমে যায়।
১০ জনের ওই হামলাকারী দল ৩ দিন ধরে মুম্বাইয়ের প্রধান রেলস্টেশন, দুইটি অভিজাত হোটেল ও ইহুদিদের একটি কম্যুনিটি সেন্টারে হামলা চালায়। তারা ট্রেনের নিরীহ যাত্রী থেকে শুরু করে কয়েকজন ধনী ভারতীয় ব্যবসায়ী ও কয়েকজন পশ্চিমা নাগরিকসহ ১৬৬ জনকে হত্যা করে, আহত হয় শ’শ’ মানুষ।
কয়েকজন জঙ্গি নেতার নির্দেশনায় হামলা পরিচালনা করা হয়েছিল পাকিস্তান থেকে। হামজা তাদের অন্যতম বলে ধারণা করা হচ্ছে। টেলিফোনে যার নির্দেশনা নিয়ে জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে সেই হামজা বলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ধারণা।
হামলাকারীদের সঙ্গে ফোনালাপের যে রেকর্ড ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আছে সেই রেকর্ডের কণ্ঠ হামজার বলেই মনে করা হচ্ছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে হামজাকে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের হিন্দি ভাষার শিক্ষক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ভারতের কয়েকটি স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবু হামজাকে সৌদি আরব থেকে ভারতে পাঠানো হয়। পরে দিল্লি বিমানবন্দরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সৌদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।
ভারতীয় আইন কর্মকর্তা রাজিব মোহন জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হামজাকে ১৫ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখা হবে।
মুম্বাই হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে লস্কর-ই-তৈয়বার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সাঈদকে দায়ী করেছে ভারত।
সাঈদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাকিস্তান কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগাদা দিয়ে আসছে ভারত।
মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন হাফিজ সাঈদকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ১ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেন।