নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন এ খবরে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
এছাড়া মাইজদী বাজার এলাকায় ১৫টি গাড়িসহ ব্যাপক ভাঙচুর করেন তারা।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এ বিষয়ে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা ও এক প্রভাবশালী মন্ত্রী জেলায় বিভিন্ন নিয়োগ এবং বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন।
এ নিয়ে মন্ত্রিসভায়ও আলোচনা হয়। এ ঘটনা জানার পর একরামুল করিম চৌধুরী কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতিপত্র জমা দেন।
এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ডাকা হয়।
এ বর্ধিত সভায় একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিমের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলে উপস্থিত জেলা নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ সময় সোনাপুর, দত্তের হাট, পৌরসভার সামনে, টাউন হল মোড়ের মাইজদী বাজারে প্রায় ১৫ থেকে ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করেন নেতাকর্মীরা।
এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের ভেতর থেকে চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র রাস্তায় বের করে সেগুলো ভাঙচুর ও পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
এরপর বিকেল ৫টায় একরামুল করিম চৌধুরী দলীয় কার্যালয়ে এসে বিক্ষুদ্ধ কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং পদত্যাগ করবেন না বলে আশ্বস্ত করলে নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
এ সময় একরামুল করিম চৌধুরী নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “সরকারকে ১০ দিনের সময় দেওয়া হলো। এ ১০ দিন দলীয় কার্যালয় বন্ধ থাকবে।`
এছাড়া ১০ দিনের মধ্যে তার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে, সে বিষয়ে যদি পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয়, তাহলে পদত্যাগ করবেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে একরামুল করিম চৌধুরী জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে ও একটি কুচক্রী মহলের অপপ্রচারের কারণে তিনি দল থেকে পদত্যাগ করতে চান।
সে কারণে ৪ দিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খায়রুল আনম সেলিমের কাছে অব্যাহতি চেয়ে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে খায়রুল আনম বলেন, “পদত্যাগপত্র পেয়েছি। তাকে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি এতে রাজি না হলে আমরাও গণহারে পদত্যাগ করবো।”