ভারতের সাহারা গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশের আবাসন খাতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকে এক লাখ একর জমি দেওয়ার বিষয় উল্লেখ নেই বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, সরকার সাহারা গ্রুপকে এক লাখ একর জমি দেবে বলে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপির এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজানের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মান্নান খান আরো বলেন, “দেশে বিদ্যমান ক্রয় নীতিমালা ও বিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে এই ধরনের আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। সরকার দেশের কৃষি জমি সংরক্ষণে বদ্ধ পরিকর। এ ধরণের আবাসন প্রকল্প গ্রহণকালীন ন্যূনতম কৃষিজ জমি ক্ষতিগ্রস্তের বিষয়টি সরকার সব সময় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে।”
গত ২৫ মে ‘সাহারা মাতৃভূমি উন্নয়ন সংস্থা’ নামে বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করে ভারতের সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার।
সংসদে প্রশ্নোত্তরে প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, সাহারার সঙ্গে তিনটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এগুলো হলো- ঢাকার কাছে একটি নতুন শহরের কনসেপশনাল ডিজাইন অ্যান্ড প্ল্যানিং প্রণয়ন। আর্থিক নিরাপত্তাসহ নি¤œ আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য অ্যাফোরডেবল আবাসন প্রকল্প গ্রহণ। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন ইন্টিগ্রেটেড টাউনমিপ প্রকল্পের কনসেপশনাল ডিজাইন অ্যান্ড প্ল্যানিং প্রণয়ন।
নাছিমুল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ঢাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বর্তমানে মাত্র ৭ শতাংশ আবাসন সুবিধা ভোগ করছেন। প্রায় ৯৩ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারি আবাসন সুবিধার বাইরে রয়েছেন।
তিনি আরো জানান, আবাসন সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য গণপূর্ত অধিদফতরের মাধ্যমে ছয়টি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে মান্নান খান জানান, ঢাকার জেলার ধামরাইতে স্যাটেলাইট টাউন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।
সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে মান্নান খান বলেন, “ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে যেসব আবেদনকারী প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন তাদের ২০১২ সালের মধ্যে প্লটগুলি সরেজমিনে দখল প্রদানের জন্য কার্যক্রম চলছে।”
এর আগে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।