1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন

স্পিকার ঐতিহাসিক রুলিং দিয়েছেন : সুরঞ্জিত

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২০ জুন, ২০১২
  • ৯৬ Time View

দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি বলেছেন, জাতীয় সংসদের স্পিকার ঐতিহাসিক রুলিং দিয়েছেন।এতে করে যে সাংবিধানিক সমস্যা দেখা দিয়েছিলো, তার সমাধান হয়েছে। স্পিকার অত্যন্ত সহনশীল, পরিমিতিবোধ, দুরদর্শিতা ও বিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টে যেমন মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়, তেমনি সংসদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো স্পিকারের রুলিং।

তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতিকে দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে পুরো বিষয়টি সাংবিধানিকভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে।প্রধান বিচারপতির প্রতি আমাদের আস্থা আছে। উচ্চ আদালতের রায়েরও রিভিউ বা আপিল করা যায়, কিন্ত স্পিকারের রুলিংয়ের কোনো রিভিউ নেই। আইনসভার স্পিকারের রুলিং মানতে আমরা সবাই বাধ্য। তার রুলিংয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে বিরোধ মেটানোর একটি উদাহরণ তৈরি হলো। এর ফলে আগামী প্রজন্ম সংবিধানকে আরো সুসংহত হিসেবে পাবে।’

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত ‘সুস্থ ধারার রাজনীতি ও বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্তরায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি উতপ্ত থাকে। তবে এখন অনেকটা শান্ত হচ্ছে। সবাই এখন যুক্তির দিকে যাচ্ছেন। আমার মনে হয়, সবাই মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবার সময় এসেছে।তবে এজন্য সরকারি দল ‍ও বিরোধী দলকে সংসদে আসতে হবে। এখনো নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে কথা বলার সুযোগ আছে।’

সুরঞ্জিত বলেন, ‘আমরা কৃষি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অনেক অর্জন করেছি। শিক্ষাক্ষেত্রে বিপ্লব হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবায় গ্রামে ডিজিটাল পদ্ধতি ও কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে অনেক ইতিবাচক কাজ হয়েছে। নেতিবাচক রাজনীতি এখন আর চলে না। আমি বিরোধী দলকে আহ্বান জানাবো, ইতিবাচক রাজনীতি করুন।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বাচ্চু।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য তাজুল ইসলাম, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী। আরো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা কাওসারুল ইসলাম, কাজী সিরাজুল ইসলাম, এমএ রাজ্জাক প্রমুখ।

মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, দেশকে শোষণমুক্ত ও উন্নত একটি দেশ করার জন্য। আমাদের প্রত্যাশা ছিলো কেউ না খেয়ে থাকবে না, সবার মৌলিক চাহিদা পূরণ হবে। কিন্তু আমরা বোধহয় আমাদের চেতনা থেকে সরে গেছি। নানা রকম কথা বলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও বিলম্বিত করা হচ্ছে।’

সংসদ সদস্য তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হলেও তাদের দেশে এনে সমাজ নষ্ট করা যাবে না। তারা বাংলাদেশের পাসপোর্ট পেলে দেশের সুনাম নষ্ট করবে ও অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে। এখন ইতিবাচক রাজনীতি করার সময়। জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও সব শ্রেণীর মানুষের আয় বেড়েছে। বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতিকে একটি ভালো জায়গায় নিয়ে গেছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ