1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন

এবার বৃষ্টির সম্ভাবনা

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ২০ Time View

টানা কয়েক দিন দেশে শৈত্যপ্রবাহের পর এবার বৃষ্টির পূর্বাভাস মিলেছে আবহাওয়া দপ্তর থেকে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর বুধবার থেকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে। ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই সব এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা ক্ষীণ। অবশ্য এ সময়ে তীব্র শীত অনুভূত হবে না।

আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে বুধবার থেকে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি শুরু হবে। ওই সময় উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলবে। যাকে পশ্চিমা প্রভাব বলা হয়।

আবহাওয়া কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে পূবালী বাতাসের মিশ্রণের ফলে আকাশে মেঘ তৈরি হয়ে বৃষ্টি হয়। ২৫ নভেম্বর থেকে ঢাকা, রাজশাহীসহ দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। তিন দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি থাকবে। তখন অবশ্য শীতের তীব্রতা অনুভূত হবে না। তবে বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর এই মাসের শেষের দিকে আরেকটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে বলে জানান হাফিজুর রহমান।

গত বুধবার থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। যেটি গতকাল রবিবারও অব্যাহত ছিল। মাঝখানে এক দিন দেশের কোথাও শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও গতকাল পাঁচটি জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী ও পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাধারণত দেশের কোথাও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এলে তখন তাকে শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, আজ সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় শীতের তীব্রতা কমে যাবে। সূর্যের দেখাও মিলবে।

আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য বলছে, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা ঠাণ্ডা বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি হলে শীতের অনুভূতি বাড়ে। গতকাল ঠাণ্ডা বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি ছিল। সে কারণে গতকালও ঢাকাসহ দেশের অন্য এলাকায় কনকনে শীত অনুভূত হয়েছে। হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।

এ ছাড়া দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকলেও মানুষের কাছে বেশি শীত অনুভূত হয়। গত কয়েক দিন দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ছিল খুবই কম। সে কারণেও কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। একই সঙ্গে ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরসহ অন্য বিমানবন্দরেও উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত হয়েছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হারও বেড়েছে গত কয়েক দিনে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ভর্তির হার বেশি।

আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গত কয়েক দিন দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছিল সেটা আজ সোমবার থেকে কমবে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়বে। এ কয়েক দিন ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। গতকালও ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় সূর্য দেখা যায়নি। কোনো কোনো জেলায় মাঝেমধ্যে কুয়াশা ভেদ করে সূর্য উঁকি দিয়েছে।

আবহাওয়া কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলছেন, আজ সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। শীতের তীব্রতা কমতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ