1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০৪ অপরাহ্ন

আসামে বাঙালিরা আরো কোণঠাসা হচ্ছে, উঠল রাজ্যভাগের দাবি

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ২২ Time View

ভারতের আসামে বাঙালিদের ভিটে‌মাটির পাশাপাশি রাজনৈতিক অধিকারও কেড়ে নেওয়ার সরকারি চেষ্টা চলছে। গতকাল শনিবার বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠকে ঠিক করা হয়েছে, অসমিয়াকে বাধ্যতামূলক করা হবে আসামে।

তাদের জোট শরিক আসাম গণ পরিষদ (অগপ) কাল তাদের পরিষদীয় দলের বৈঠক থেকে দাবি তুলেছে, ভূমিপুত্রদের জন্য ৯০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত করতে হবে। সেই সঙ্গে বিধানসভায় তাদের জন্য আসন সংরক্ষণের দাবি উঠেছে।

এ অবস্থায় বাঙালিদের জন্য পৃথক বরাক রাজ্য গঠনের ডাক দিলেন কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। অন্যদিকে, আসাম রাজ্য নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতি (সিআরপিসিসি)–‌র সভাপাতি তপোধীর ভট্টাচার্য কার্বি, ডিমাসা প্রভৃতি জনগোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়েই নতুন রাজ্য গঠনের কথা বলেন।

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আসতেই আসামের ভূমিপুত্ররা বিজেপি ও তাদের জোট শরিক অগপ–‌র ওপর ক্ষিপ্ত। শনিবার রাজ্যের নারীরা চুল খুলে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেন।

শনিবার গুয়াহাটিতে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, রাজ্যে অসমিয়া ভাষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বরাক, বড়ো টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল এলাকা এবং ডিমা–হাসাও জেলা ছাড়া সর্বত্রই। ফলে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা বিধানসভায় কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক কমলাক্ষ দে–‌র।

দলের সভাপতি অতুল বরার বাড়িতে অগপ পরিষদীয় দলও আজ বৈঠক করে। বৈঠক শেষে অতুল দাবি তোলেন, আসামের ভূমিপুত্রদের জন্য চাকরিতে শতভাগ সংরক্ষণ করতে হবে। সেই সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের ৯০ শতাংশ আসনও চাই। শুধু দাবি তোলাই নয়, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন আসতেই আসাম সরকার আসাম চুক্তির ৬ নম্বর অনুচ্ছেদ বাস্তবায়িত করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।

এই অনুচ্ছেদে রয়েছে তথাকথিত ভূমিপুত্রদের জন্য সংরক্ষণের প্রস্তাব। কমিটি গড়া হয়েছে। কমিটিতে কোনো বাঙালি নেই।

বরাকের করিমগঞ্জ থেকে কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত বাঙালি বিধায়ক কমলাক্ষ দে বলেন, আসামে বাঙালিদের বসবাসের কোনো অধিকারই থাকছে না। মণিপুরের জিরিবামকে সঙ্গে নিয়ে বাঙালিদের বাঁচার স্বার্থেই প্রয়োজন পৃথক বরাক রাজ্য।

তিনি আরো বলেন, আসাম যখন বাঙালিদের রাখতে চায় না, তখন পৃথক রাজ্য গঠনই জরুরি। সিআরপিসিসি–‌র চেয়ারম্যান তপোধীরবাবুর মতে, শুধু বরাকই নন, বহুত্ববাদে বিশ্বাসী কার্বি, ডিমাসা প্রভৃতি জনগোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠনের ভাবনাচিন্তা করার সময় এসেছে। বাঙালিদের মতোই অন্যান্য জনগোষ্ঠীও অসমিয়া আধিপত্যবাদের শিকার।‌‌

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ