1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩১ অপরাহ্ন

‘ধর্ষকদের পুড়িয়ে মারা হোক’, ধর্ষিতার মায়ের আবেদন

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৩৯ Time View

পেশায় পশু-চিকিৎসক এক তরুণীকে (২৬) গণধর্ষণ করে হত্যার পরে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের তেলেঙ্গানায়। এই ঘটনায় ভারত জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তার মেয়েকে যেভাবে পুড়িয়ে মারা হয়েছে, সে ভাবেই প্রকাশ্য রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হোক ধর্ষকদের শরীরে। সদ্য সন্তানহারা মা আর কোনও ন্যায়বিচারের কথা ভাবতে পারছেন না। হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসক, ধর্ষিতা ও নৃশংসভাবে খুন হওয়া তরুণীর মায়ের এই দাবিই জোরালো হচ্ছে ভারতজুড়ে। হায়দরাবাদের ‘নির্ভয়া’র মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো ভারতকে।

অভিযুক্ত মোহাম্মদ আরিফ, জোল্লু শিবা, জোল্লু নবীন ও চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশাভুলু শুক্রবারই ধরা পড়েছে । শনিবার তেলঙ্গানার শাদনগরের ম্যাজিস্ট্রেট ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছেন তাদের। তবে নির্যাতিতার পরিবারের আক্ষেপ, পুলিশ যদি দ্রুত তৎপর হতো তা হলে হয়তো বাঁচানো যেত তরুণীকে।

তাঁর মায়ের দাবি, বিপদের আভাস পেয়ে তরুণীর ছোট বোন তোন্ডাপাল্লি টোল প্লাজায় পৌঁছে দিদির খোঁজ করেছিলেন। না পেয়ে মা-বাবাকে জানালে তাঁরা থানায় অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন।

মায়ের বলেন, ‘আমার ছোট মেয়ে প্রথমে আরজিআইএ পুলিশ স্টেশনে গিয়েছিল। কিন্তু আরজিআইএ পুলিশ বলে, সেটি শামসাবাদ থানার ঘটনা।’

নির্যাতিতার বোনের অভিযোগ, এক থানা থেকে আর এক থানায় ঘোরাঘুরি করতেই দু’থেকে তিন ঘণ্টা চলে যায়। যখন তল্লাশি শুরু হয়, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। যদিও সাইবরাবাদের পুলিশ কমিশনার, ভি সি সজ্জানারের দাবি, আরজিআইএ-তে অভিযোগ জানাতেই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

পুলিশ জানতে পেরেছ, বুধবার রাত ৯টা ২০ নাগাদ ওই তরুণীর বাইকের টায়ার পাংচার করে দিয়েছিল অভিযুক্তরা। তারপরের এক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে ধর্ষণ ও খুন করে তারা। সূত্রের মতে, কোল্ড ড্রিঙ্কে মদ মিশিয়ে জোর করে পানও করানো হয় তাঁকে। তরুণীকে খুনের পর দেহ পোড়াতে তাঁর স্কুটির জ্বালানি ব্যবহার করা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এ দিকে, তেলঙ্গানার শামসাবাদ এলাকার এক মন্দির লাগোয়া এলাকা থেকে যে দ্বিতীয় নারীর দগ্ধ দেহ পাওয়া গিয়েছিল, তিনি সম্ভবত আত্মহত্যা করেছিলেন বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের। পুলিশের এ-ও ধারণা, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।

তেলেঙ্গানার এই ধর্ষণ-খুন ফিরিয়ে আনছে দিল্লির নির্ভয়া ধর্ষণের স্মৃতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এমন নৃশংস একটা ধর্ষণ-খুনের মামলা ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে গেল না কেন? শোনা যাচ্ছে, মহাবুবনগরের যে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে মামলাটি ওঠার কথা ছিল, সেখানে বিচারক ছিলেন না। ফলে শাদনগর থানাতেই ম্যাজিস্ট্রেটকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ শোনাতে হয়। তবে সেখানেও বড়সড় গোলমাল সামলাতে হয়েছে প্রশাসনকে। থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখান শ’য়ে শ’য়ে মানুষ।

তাঁদের দাবি, অভিযুক্তদের জনগণের হাতে তুলে দেওয়া হোক। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠি চালায় পুলিশ। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে মিছিল হয়েছে তেলঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশেও। শাদনগর বার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে অভিযুক্তদের হয়ে মামলা লড়বে না। টুইটারে সরব তারকারাও।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ