1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন

৮ বছরের সাজা হলো ওসি মোয়াজ্জেমের

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৯
  • ২৩ Time View

ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বক্তব্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

রায়ে ওসি মোয়াজ্জেমকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৬ ধারায় পাঁচ বছর এবং একই আইনের ২৯ ধারায় তিন বছর- মোট আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ওসি মোয়াজ্জেমকে।

বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-সামছ জগলুল হোসেন আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এই রায় ঘোষণা করেন। এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে এজলাসে তোলা হয় আসামি ওসি মোয়াজ্জেমকে। এর কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় রায় ঘোষণা।

গত ২০ নভেম্বর আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার ধার্য করা হয়। একই সঙ্গে ওসি মোয়াজ্জেমকে রায় ঘোষণার সময় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত ১৫ এপ্রিল মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। এরপর ২৭ মে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা প্রতিবেদন দেন। তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, ‘ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।’ এরপর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

গত ১৬ জুন দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরদিন ১৭ জুন তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। সেই থেকে মোয়াজ্জেম কারাগারে আছেন। গত ১৭ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ৩১ জুলাই মামলার বাদী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচার। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১২ জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যে নুসরাতের মা, ভাই ও দুই সহপাঠী সাক্ষ্য দেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৭ মার্চ সকাল ১০টার দিকে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা তাঁর অফিসের পিয়ন নূরুল আমিনের মাধ্যমে ছাত্রী রাফিকে ডেকে নেন। পরীক্ষার আধা ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ