মুক্তিযুদ্ধকালীন অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সময় সোমবার নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
২০ মে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ করলে বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ এ নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ১৬ মে কামারুজ্জামানের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ খণ্ডন করে আসামিপক্ষের শুনানি শেষ করেন।
গত ১৩ মে তিনি শুনানি শুরু করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে গত ৩১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল-১। ৮৪ পৃষ্ঠার এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগে গণহত্যা, গণহত্যা সংঘটনে ষড়যন্ত্র, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও হত্যা, ব্যাপক নির্যাতনযজ্ঞ, দেশত্যাগে বাধ্য করা, নির্যাতন, ধর্ষণ, ধর্মগত ও রাজনৈতিক কারণে ক্রমাগত নির্যাতনের সুপিরিয়র হিসেবে সব অপরাধের একক ও যৌথ দায় সংক্রান্ত ৯টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ৮ মে প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলাম কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনীত এ অভিযোগপত্র ট্রাইব্যুনালে পড়ে শোনান।
অভিযোগে বলা হয়, “শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার সোহাগপুর গ্রামে কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে তার পরিকল্পনা ও পরামর্শে ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই ১২০ জন পুরুষকে হত্যা করা হয় এবং ওই গ্রামের প্রায় ১৭০ জন মহিলাকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করা হয়।”
তিনি বলেন, “সেই ঘটনার পর থেকে সোহাগপুর গ্রাম এখন ‘বিধবাপল্লী’ নামে পরিচিত। এ কারণে সোহাগপুরের বিধবাপল্লীর জন্যও দায়ী কামারুজ্জামান।”
উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল প্রসিকিউশনের প্রধান গোলাম আরিফ টিপুর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কামারুজ্জামানের মামলাটি প্রথম ট্রাইব্যুনাল থেকে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগের মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুলাই কামারুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়।