নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া সরকারের মোট ১৬ বছরের উন্নয়ন কাজ থেকে বর্তমান সরকারের ৩ বছরের উন্নয়ন কাজ বেশি হয়েছে এটা প্রমাণ করতে না পারলে মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেব।’
শনিবার সকাল ১১টায় দীর্ঘ বায়ান্ন বছর আগে সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ঘোষিত টঙ্গী নদী বন্দর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নৌ পরিবহনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নদী ড্রেজিংয়ের জন্য ১৮টি নতুন ড্রেজার ক্রয় করা হচ্ছে। তার মধ্যে ২টি ইতোমধ্যে দেশে আনা হয়েছে। আরও ৩টি আগামী নভেম্বরের মধ্যে দেশে পৌঁছাবে। বেসরকারী ড্রেজিং ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করতে বেসরকারী উদ্যোক্তোদের মাধ্যমে ১৬ টি ড্রেজার সংগ্রহেরও চেষ্টা করা হচ্ছে।’
নৌ পরিবহনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ শিপিং কপোরেশনের আওতায় ২০টি জাহাজ ক্রয়েরও উদ্যোগ নিয়েছে।’
নৌ পরিবহণ মন্ত্রনালয়ের সচিব মো: আব্দুল মান্নান হাওলাদারের সভাপতিত্বে টঙ্গীর পাগার এলাকায় নবনির্মিত টঙ্গী নদী বন্দর প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, টঙ্গী পৌর সভার মেয়র অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খাঁন, বিআইডাব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান ড. মো. শামছুদ্দোহা খন্দকার।
পরে মন্ত্রী বন্দরের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা শহরের চারিদিকে নদী সমূহের নাব্যতা ফিরিয়ে এনে বৃত্তাকার নৌপথ সৃষ্টি করে ঢাকা শহরের মধ্যে যানবাহন চলচলের চাপ কমানো, সেচকাজ, মাছচাষ, নৌ-পর্যটন বিকাশের লক্ষ্যে ঢাকা শহরের চারিদিকে বৃত্তাকার নৌপথ চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে সদরঘাট থেকে আশুলিয়া, টঙ্গী, ডেমরা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, পাগলা হয়ে আবার সদরঘাট অথাৎ ঢাকাও নারায়ণগঞ্জ শহরের চারপাশে বৃত্তাকারে নৌযান চলাচল করতে পারবে।
এদিকে টঙ্গী নদী বন্দর উদ্বোধন হওয়ায় টঙ্গী এলাকাবাসী উপকৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।