1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন

বাবরি মসজিদ মামলার রায় শুনেই মমতাকে ফোন অমিত শাহর

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৯
  • ২৪ Time View

বাবরি মসজিদ বা অযোধ্যা মামলার রায় বের হওয়ার পরই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে খোঁজখবর নেন তিনি। কয়েক মিনিট কথা হয়েছে দুজনের মধ্যে। বাংলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে বিশেষ করে ‘স্পর্শকাতর’ এলাকায় প্রশাসনিক নজরদারি যাতে ঠিকমতো থাকে সেই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষে রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে।

জানা গেছে, শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই নয় প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন অমিত শাহ। কোনও রাজ্য চাইলে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিতে পারে বলে জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্যের নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর সহ বিভিন্ন রেল স্টেশন গুলি যেমন হাওড়া, শিয়ালদা প্রত্যেকটি জায়গাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সদা সতর্ক প্রশাসন।

শনিবার সকালে বিতর্কিত অযোধ্যা মামলায় এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির হবে। বিকল্প পাঁচ একর জমি পাবে মুসলিমদের পক্ষের ‘সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড’। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বে শীর্ষ আদালতের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে এই রায় বলে আদালত সূত্রে খবর।

রায়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বিতর্কিত মূল বিতর্কিত জমি পাবে ‘রাম জন্মভূমি ন্যাস’। এই জমিতে মন্দির তৈরিতে কোনও বাধা নেই। তবে কেন্দ্রকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তিন মাসের মধ্যে একটি ট্রাস্ট গঠন করতে হবে। ওই ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানেই থাকবে বিতর্কিত মূল জমি। কী ভাবে, কোন পদ্ধতিতে মন্দির তৈরি হবে, তারও পরিকল্পনা করবে ট্রাস্ট।

অন্যদিকে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। নির্দেশে বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ কোনও জায়গায় ওই জমির বন্দোবস্ত করতে হবে সরকারকে। রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, বাবরের সেনাপতি মির বাকিই যে মসজিদ তৈরি করেছিলেন, তার প্রমাণ রয়েছে। তবে সেটা কোন সালে, তা নির্ধারিত নয় এবং তারিখ গুরুত্বপূর্ণও নয়।

এই রায় ঘোষণার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা রায় পরবর্তীতে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানাচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার দলের বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শেষে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও একই আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে বলেছিলেন, রায় দেখে যা বলার বলব।” দলের নেতাদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, তিনি ছাড়া কেউ যেন অযোধ্যা নিয়ে কোনও মন্তব্য না করেন। যদিও এদিন সকাল সাড়ে এগারোটার মধ্যে রায় স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে অযোধ্যা রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ