1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন

৭ নভেম্বরের মধ্যে ড. ইউনূসকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৯
  • ২৬ Time View

নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বেঁধে দেওয়া ওই সময়ের মধ্যে তাকে হয়রানি না করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে নির্বিঘ্নে আত্মসমর্পণের নির্দেশনা চেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাই মুহম্মদ ইব্রাহীমের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
রোকন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তিনজন লোক লেবার কোর্টে তিনটি মামলা করেছেন। এই তিন মামলায় ওনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। যখন মামলাটা ফাইল হয়, তখন তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। গ্রেফতারি পরোয়ানার সময়ও তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। এখন ইউনূস সাহেব এয়ারপোর্টে আসলে গ্রেফতার হতে পারেন, তার জন্য উনার ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহীম একটি রিট পিটিশন করেছিলেন। আবেদনে তিনি বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন বিশিষ্ট নাগরিক, নোবেলবিজয়ী। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। উনার আদালত থেকে লুকিয়ে থাকার কোনো কারণ নেই। উনি দেশে ফিরে আদালতে যাবেন। এ কারণে এয়ারপোর্টে এসে উনি যেন ফ্রিলি আদালতে যেতে পারেন, সে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। আদালত আদেশ দিয়েছেন উনি দেশে ফিরে ফ্রিলি কোর্টে যেতে পারবেন। উনাকে কেউ হয়রানি করবে না। ইউনূস সাহেব ৭ নভেম্বরের মধ্যে কোর্টে হাজির হবেন।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন ‘গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স’র চাকরিচ্যুত কর্মচারীরা তার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেন। ওই মামলায় শুনানি শেষে গত ৯ অক্টোবর ঢাকার শ্রম আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সে কিছু শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে তাতে বাধা দিয়ে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন শ্রমিক ড. ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় আসামিদের উপস্থিতির দিন ধার্য ছিল গত ৯ অক্টোবর। মামলায় অপর দুই আসামি নাজনীন সুলতানা ও খন্দকার আবু আবেদীন উপস্থিত থাকলেও বিদেশে অবস্থান করায় ড. ইউনূস উপস্থিত ছিলেন না। এ কারণে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ