মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানিগুলোকে (এমএলএম) লুটেরা বলে অভিহিত করলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান গোলাম রহমান।
ডেসটিনি ২০০০ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখানে বিপুল সংখ্যক মানুষের স্বার্থ জড়িত। কিছু চতুর লোক সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে সম্পদ কুক্ষিগত ও লুটপাটের কাজ করছেন।’
বুধবার বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘এমএলএমের নামে সারাদেশে লুটপাটের কর্মকাণ্ড চলছে। মানি লন্ডারিংয়ের কর্মকাণ্ড চলছে। সাধারণ মানুষকে সর্বস্বান্ত করার যে কর্মকাণ্ড চলছে, তা প্রতিহত করা দরকার।’
গোলাম রহমান বলেন, ‘গণমাধ্যমের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ডেসটিনি বিষয়ে অনুসন্ধান করছি।
যারা অধিক অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে ঠকাচ্ছে, তাদের শাস্তি হওয়া দরকার।’
ডেসটিনি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দুদকের তদন্ত কমিটি তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে একটি তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবে এবং তার ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল ও আজকে কিছু লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আরও কিছু লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
“ডেসটিনি বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে কতদিন সময় লাগতে পারে?“– প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি বলেন, “এটা নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। যদিও আইনে ১৫ কর্মদিবসের কথা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে আরও ১৫ দিন দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে ডেসটিনির যে বিশাল কর্মযজ্ঞ, তাতে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না কবে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করা সম্ভব হবে।“
তিনি বলেন, “এদের (ডেসটিনি) নাকি ৩ ডজনের বেশি প্রতিষ্ঠান আছে। ইনভেস্টমেন্ট হাজার হাজার কোটি টাকা, কাজেই ৩ জন কর্মকর্তাকে দিয়ে অল্প সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন করা অসম্ভব। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে যে সময় দেওয়া দরকার, কমিশন সে সময় দেবে।“
দুদক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে দুদক তদন্ত কর্মকর্তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিচ্ছে।