1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১২ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের জয়, মাথা নোয়াল চীন!

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৯
  • ২৫ Time View

গত কয়েকমাস ধরে চরমে পৌঁছেছিল চীনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য যুদ্ধ। এর কারণে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে একেবারে যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়েছিল ওয়াশিংটন। দফায় দফায় দুই রাষ্ট্রনেতা এই নিয়ে আলোচনা বসেছে। কিন্তু সমাধান সূত্র কিছুই মেলেনি। চীনের শুক্ল বৃদ্ধির জবাবে আমেরিকাও একাধিক চীনা দ্রব্যের ওপর শুল্ক আরোপ করতে শুরু করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মাথা নোয়াল চীন। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কৃষিজ পণ্য কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। এই খবর ঘোষণা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুঝিয়ে দিলেন বাণিজ্যে যুদ্ধ জয় তিনি করে ফেলেছেন।

এর আগে চীনের বাণিজ্য নীতির প্রতিবাদে কয়েকদিন আগেই প্রায় ২৮টি চীনা সংস্থাকে নিজের দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল চীন নিজের দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালাচ্ছে। সেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যদিও আসল কারণ ছিলো চীনের বাণিজ্য নীতি।

চীনকে বিপাকে ফেলতে একাধিক মার্কিন সংস্থা এমনকি আইফোন-অ্যামাজনের মতো সংস্থাকেও চীন থেকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই মতো কাজও হয়েছিল। চীন থেকে সরে এসে ভারতে আইফোন তৈরির কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত হয়। আমাজনেরও একটা বড় অংশ চীন থেকে সরে এসেছিল।

এদিকে দীর্ঘ সময় দুই রাষ্ট্রের অনড় মনোভাবে প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে। যুক্তরাষ্ট্রে এই আচরণ বেশি দিন নিতে পারেনি চীন। দেশের কৃষিজ পণ্যের ঘাটতি মেটাতে শেষ পর্যন্ত মাথা নোয়াতেই হয়েছে।

২০১২-১৩ সালে আমেরিকা কৃষিজ পণ্যের সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করেছিল চীনে। প্রায় ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কৃষিজ পণ্য এবং যন্ত্রাংশ চীনে রপ্তানি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানি অনেকটাই কমিয়ে দেয় চীন। মাত্র ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি বাণিজ্য চীনে করতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৮ সালে সেটা কমে হয়ে যায় মাত্র তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এতে দুই দেশের কৃষকদেরই বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ