1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন

কিমের ‘টর্চার রুম’-এর কথা জানলে শিউরে উঠবেন

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৯
  • ২৪ Time View

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। যার অঙ্গুলি হেলনে কোন ছোট কাজ নয়, ভয়ঙ্কর সব মিসাইল আছড়ে পড়ে এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্তে। যার একটা পদক্ষেপই যথেষ্ট বিভিন্ন দেশের কপালে ভাঁজ ফেলার জন্য। কিন্তু এতদিন যা প্রকাশ্যে এসেছে তা কিছুই নয়।

কিম জং উনের টর্চার রুমে’র কথা যারা জানে তারাই জানে এর ভয়াবহতা। এই ‘টর্চার রুমে’ জীবন্ত গেলেও, দেহ ফিরে আসে নিথর-প্রাণহীন হয়ে। এই রুম এতটাই ভয়ঙ্কর যে হিটলারকেও নাকি হার মানাবে, এমনই মত অনেকের। প্রকাশিত একটি খবর থেকে উঠে এসেছে এমনই তথ্য৷ চলুন চোখ রাখা

এক নির্যাতিতের বক্তব্য অনুযায়ী, এই কক্ষে আপনি একা বসে বসে শুধু মৃত্যুর অপেক্ষা করতে বাধ্য হবেন। প্রতিরাতে আলো নিভে যাওয়ার পরও শোনা যায় বিভিন্ন কক্ষ থেকে চিৎকারের শব্দ। কারণ কেউ না কেউ সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, অবধারিতভাবে ধরাও পড়ে যায়। আর তারপর তাকে নগ্ন করে চলে রাতভোর অত্যাচার৷ প্রতিদিনই সেখানে এই অত্যাচারের ফলে কেউ না কেউ মারা যায়।

এক নির্যাতিতা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে বলেন, যেন ভগবান সেই মৃত্যুপুরী থেকে বাকিদের উদ্ধার করেন৷ এমনসব কক্ষে বন্দিদের রাখা হয়, যেখানে সে ঠিকভাবে বসতে বা শুয়ে থাকতেও পারবে না। উঠে দাঁড়ানো তো দূরের বিষয়। কিছুটা কুকুরদের থাকার জায়গার মতো। ওখানেই বন্দিদের থাকতে হয়, খেতে হয়। তার মধ্যেই শৌচকর্ম করতে হয়।

অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে বন্দিরা পালানোর চেষ্টা করলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়, আর সেই দেহ অন্য বন্দিদের দেখিয়ে ভয় দেখানোর পালা চলে৷ দিনে একবার এক বাটি ভাত দেওয়া হয়৷ তাতে বেশিরভাগটাই থাকে জল৷ আর তার মান এমনই যে বেশিরভাগ সময়েই তার থেকে পচা গন্ধ বেরিয়ে আসতে থাকে৷ তা না খেলে, খালি পেটেই থাকতে হয়৷ দিনে ১৮ ঘন্টা করে কাজ করানো হয় তাদেরকে৷ আর তাতে না বললেই শুরু হয় অত্যাচার৷ কোনও নিয়মভঙ্গ করলেই এখানে একটাই শাস্তি। আর তা হলো মৃত্যু৷ এমন নিষ্ঠুরতার কথা হয়তো কেউ শোনেনি। শুনবেই বা কি করে? সংবাদমাধ্যমের ও যে হাত পা বাঁধা।

কিম জং উনের সেই মৃত্যুপুরীতে গার্ডের কাজ করে আসা লিম চোখে দেখা সেইসব অত্যাচারের বিবরণ দেয়৷ সে জানায়, দুই হাত পিছনে বেঁধে দিয়ে বন্দির মুখ দেওয়াল বা টেবিলে ঠুকে দেওয়া হতো। দিনরাত চলত অত্যাচারের খেলা চলে সেই নরকে। লিমের মতে পুরুষ নিরাপত্তা রক্ষীরা নারী বন্দিদের ধর্ষণ করত। লিম স্বচক্ষে এমন হাজার হাজার ধর্ষণ আর খুন হতে দেখেছে। এখানেই শেষ নয়, তাদের জীবন্ত জ্বালিয়েও দেওয়া হয়। গর্ভবতী হলে নারী বন্দিদের জোর করে গর্ভপাত করান হয়। তাদের পেটে আঘাত করা হয় বারবার। তারপরে বাচ্চা জন্মগ্রহণ করলে তাকে জীবন্ত অবস্থায় কবর দিয়ে দেওয়া হয়। খুব কম জনই এই নরক থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছে।

সূত্র : কোলকাতা২৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ