1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন

মালয়েশিয়ায় সম্রাটের সেকেন্ড হোমের সন্ধান

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৯
  • ২০ Time View

যুবলীগ চেয়ারম্যানসহ ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত ৪৩ জনের দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদের তথ্য-উপাত্ত পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই মধ্যে মালয়েশিয়ায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের ফ্ল্যাট ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সুনির্দিষ্ট তথ্য মিলেছে। মালয়েশিয়া সরকারের সেকেন্ড হোম প্রকল্পের আওতায় ফ্ল্যাট কেনেন তিনি। গত এক সপ্তাহে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িতদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত হাতে পেয়েছে দুদক।

ক্যাসিনো বন্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরুর পর নাম আসতে থাকে যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সরকারদলীয় অনেক নেতার। গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা জি কে শামীমসহ বেশ কয়েকজনকে। ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িতদের বাসায় অভিযানকালে পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।

এরই মধ্যে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িতদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে নামে দুদক। সম্প্রতি দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক হয় র‌্যাব এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) মহাপরিচালকের সঙ্গে। ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িতদের বিষয়ে দুদককে বেশ কিছু তথ্য দেয় র‌্যাব ও বাংলাদেশ ব্যাংক।

দুর্নীতি দমন কমিশন সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত জানান, এরই মধ্যে ৪৩ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের সম্পদের বিবরণী নেওয়া হচ্ছে। অনুসন্ধানে সম্রাটের মালয়েশিয়ার আমপাং তেয়ারাকুন্ডতে ফ্ল্যাট থাকার তথ্য পেয়েছে দুদক। মালয়েশিয়া সরকারের সেকেন্ড হোম প্রকল্পের আওতায় ফ্ল্যাট কেনেন সম্রাট। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ব্যাংকেও তাঁর লেনদেনের তথ্য মিলেছে।

সম্রাট ছাড়াও ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত ৪২ জনের তথ্য এখন দুদকের অনুসন্ধান টেবিলে। ক্যাসিনোর পাশাপাশি এঁরা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে। মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, ‘সম্পদের আয়ের উৎস যদি সঠিকভাবে না পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা এবং মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করা হবে।’ ক্যাসিনোর মাধ্যমে যাঁরা অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের শিগগিরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান দুদক সচিব।

যুবলীগ নেতা সম্রাট ও খালেদ ছাড়াও ক্যাসিনোকাণ্ডে যুক্ত হয়ে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ, সহসভাপতি আরমানুল হক আরমান, সেলিম প্রধান, কাজল, তুহিন, খোরশেদ শফিকুল আলম সেন্টু, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল আলম ফিরোজ ওরফে কালা ফিরোজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউসার, নুরুল ইসলাম, বিসিবির পরিচালক লোকমান হোসেন, মিজানুর রহমান, আলী হোসেন, এনামুল হক এনু, রুপন ভূঁইয়াসহ এরই মধ্যে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িয়ে অঢেল অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার তথ্য-উপাত্ত দুদক পেয়েছে বলে জানা গেছে।

ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িতদের কেউ কেউ গ্রেপ্তার হলেও বেশির ভাগই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের পর আত্মগোপনে চলে গেছে। কেউ কেউ দেশের বাইরে চলে গেছে।

অভিযোগ রয়েছে এসব নেতার বিরুদ্ধে অবৈধ ক্যাসিনো ছাড়াও গণপূর্ত, ডিসিসি, শিক্ষা, ওয়াসা, সওজ, তিতাসসহ বিভিন্ন সংস্থায় একচেটিয়া টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ সব কিছুর নিয়ন্ত্রণের। আর এসব নিয়ন্ত্রণ করতেন যুবলীগের সম্রাট, খালেদ ভূঁইয়া, জি কে শামীমসহ আরো অনেকে। ক্যাসিনোর টাকার ভাগ পেতেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীসহ ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ