1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন

কিশোরীকে গণধর্ষণের পর হত্যা, আসামি ৬

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩১ মে, ২০১২
  • ৭৬ Time View

নগরীর খানজাহান আলী থানা এলাকায় কিশোরী ময়নাকে (১৪) গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদঘাটিত হয়েছে।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজন গ্রেফতার হওয়ার পর বুধবার তাদের একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। জবানবন্দীতে ময়নাকে গণধর্ষণ ও হত্যায় ৬ জন অংশ নেয় বলে সে  জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ৩ মে নগরীর খানজাহান আলী থানা এলাকার বাসিন্দা ও সোনালী জুটমিলের শ্রমিক নজির মুন্সির কিশোরী কন্যা ময়নাকে স্থানীয় কয়েক লম্পট ধর্ষণ করে। পরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মেয়েটিকে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে।

ঘটনার পরদিন ৪ মে তার বাবা নজির মুন্সি খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করেন।

খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম জানান, তদন্তের পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার সাগর (২২) ও রফিকুল ইসলাম (৩০) নামে দুই দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করা হয়।

তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করায় সাগরকে খুলনার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে।

জবানবন্দীতে সাগর স্বীকার করেছে, কিশোরী ময়না সোনালী জুটমিলের গেটে ফুটপাথে বসে বিস্কুট বিক্রি করতো। দীর্ঘ দিন ধরে সে ও রফিকসহ কয়েকজনের কুনজর পড়ে ময়নার। তারা ময়নাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে গত ২৯ এপ্রিল।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩ মে  সন্ধ্যার পর ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে ময়না দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় তারা তাকে ধাওয়া করে স্থানীয় বালুর মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে গণধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ময়না জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মারা গেছে ভেবে তাকে টেনে-হেঁচড়ে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলানোর চেষ্টা করে ওই দুর্বৃত্তরা।

এক পর্যায়ে জ্ঞান ফিরে এলে ময়না চিৎকার করে। এ সময় তার মুখ চেপে ধরে আবারও তাকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর তার ওড়না খুলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পুরো ঘটনায় ৬ জন অংশ নেয় বলে সাগর আদালতে স্বীকার করেছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই জানান, গ্রেফতারকৃত সাগর স্থানীয় কুয়েট রোড খানাবাড়ি এলাকার মুছা খাঁর ছেলে। সে সোনালী জুট মিলের শ্রমিক।

গ্রেফতারকৃত অপর আসামি রফিকুল ইসলাম ওরফে রবি ফুলবাড়ী গেট রেল লাইন এলাকার আলী আহমেদের ছেলে। সে চোর রফিক নামে এলাকায় পরিচিত।

ওই ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ