‘বর্তমানে দেশে মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১শ ৯৪ জন।
১৯৯০ সালে প্রসবকালীন সময়ে এই মাতৃ মৃত্যুর হার ছিল- ৫শ ৭৪ জন।
২০১৫ সালের মধ্যে এই মৃত্যুর হার ১শ ৪৩ এ কমিয়ে আনার লক্ষে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সাহায্যে স্বাস্থ্যবিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
‘নিরাপদ প্রসব মায়ের অধিকার’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সোমবার পাবনায় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সকাল ১১টার দিকে পাবনা শহরের পিসিসিএস বাজারে পাবনার সিভিল সার্জন ডা. গাজীউল আলমের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন- ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. তাহসীন বেগম, মেডিকেল অফিসার ডা. শিউলী রানী সাহা, জেলা মহিলা পরিষদের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার জলি, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অনন্যা-র উপপরিচালক আজিম উদ্দিন, প্রত্যাশা-র নির্বাহী পরিচালক আব্দুল বাতেন রুশদী, আসিয়াব-এর সমন্বয়কারী আব্দুস সামাদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, মাতৃ মৃত্যুর হার কমিয়ে আনার লক্ষে স্বাস্থ্যবিভাগ ৬টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
বক্তারা জানান, পাবনা জেলায় সক্ষম দম্পতির সংখ্যা ৫ লাখ ৫৫ হাজার। শিশু মৃত্যুর হারের পরিসংখ্যানে পাবনা জেলার অবস্থান সারাদেশের মধ্যে দ্বিতীয়। অর্থাৎ প্রতি হাজারে ২৪ জন।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে পাবনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে দিবসটি পালনে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
র্যালি ও আলোচনা সভায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তা, মাঠপর্যায়ের কর্মীসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সংস্থার কর্মী, সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
পাবনা সিভিল সার্জন ডা. গাজিউল আলম জানান, এ বছর পাবনা জেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে মোট ৪৬ জন মাকে সঠিক ও নিরাপদভাবে সন্তান প্রসব নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে- একমাত্র সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকেই ২৫ জন।
ধোপাদহ ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী মাহমুদা খাতুন দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক মাকে নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিশেষ পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানান সিভিল সার্জন।