1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন

জাতিসংঘের তদন্তে মিয়ানমারের দেড় শতাধিক অপরাধী চিহ্নিত

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ২৪ Time View

রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনে মিয়ানমার বাহিনী ও তাদের দোসরদের গুরুতর অপরাধের তথ্যপ্রমাণসংবলিত ৫৬ হাজার ৫০০টি নথি জাতিসংঘের মিয়ানমারবিষয়ক স্বাধীন তদন্ত কাঠামোতে জমা হয়েছে। মিয়ানমারের দেড় শতাধিক অপরাধীকে চিহ্নিত করা হয়েছে এতে।

জাতিসংঘ গঠিত স্বাধীন সত্যানুসন্ধানী দলের প্রধান মারজুকি দারুসমান গতকাল মঙ্গলবার জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদকে এ তথ্য জানান।

গত দুই বছরে ওই নথিগুলো তৈরি করেছে জাতিসংঘের স্বাধীন সত্যানুসন্ধানী দল। এতে মিয়ানমারে অপরাধের শিকার হওয়া এক হাজার ২২৭ ব্যক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার বা জবানবন্দি রয়েছে।

সে সময় মারজুকি দারুসমান রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার বাহিনীর নির্মূল অভিযানে জেনোসাইড, ব্যাপক হত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধসহ গুরুতর অনেক অপরাধের আলামত থাকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, জেনোসাইড প্রতিরোধবিষয়ক কনভেনশনে সই করেও মিয়ানমার জেনোসাইড ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে।

মারজুকি দারুসমান আরো বলেন, দুই বছর আগে মানবাধিকার পরিষদ যখন স্বাধীন সত্যানুসন্ধানী দল গঠন করার প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল তখন পরিস্থিতি জানার জন্য বিশ্বসম্প্রদায়ের অপেক্ষা করার সময় ছিল। এখন মিয়ানমার পরিস্থিতি কী তা বিশ্বের সামনে স্পষ্ট। তিনি বলেন, বিশ্বের এখন ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে।

জাতিসংঘের তদন্তদলটি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ব্যবসা-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক না রাখতে বিশ্বসম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে রাখাইন রাজ্যেও বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্যে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছে।

মানবাধিকার পরিষদে গতকালের আলোচনায় বেশির ভাগ সদস্য ও বেসরকারি সংস্থা মিয়ানমারের জবাবদিহির পক্ষে মত দেয়। তবে চীন ও রাশিয়া এর বিরোধিতা করে বলেছে, সত্যানুসন্ধানী মিশন তার ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কাজ করেছে। ওই মিশনের সুপারিশ ও প্রতিবেদন মিয়ানমার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে কোনো ভূমিকা রাখবে না, বরং আরো অবনতি ঘটাতে পারে। ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, লাওসের মতো আসিয়ান সদস্যগুলো মিয়ানমারের নেওয়া উদ্যোগ তুলে ধরে। সত্যানুসন্ধানী মিশনের প্রতিবেদন ও সুপারিশের সমালোচনা না করে মিয়ানমারের সীমাবদ্ধতার বিষয়টি তুলে ধরে ভারত। একই সঙ্গে ভারত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের সংস্কারের জন্য গঠনমূলকভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানায়।

মানবাধিকার পরিষদের বেশির ভাগ সদস্যই মিয়ানমারে চলমান ‘জেনোসাইড’ ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্যে গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করে এবং ওই সব অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতকে (আইসিসি) দেওয়ার সুপারিশ করে।

বাংলাদেশ বলেছে, সত্যানুসন্ধানী দলের প্রতিবেদনে মিয়ানমারের লজ্জাজনক অপরাধের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে উত্থাপিত তথ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ একমত যে মিয়ানমার জেনোসাইড ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমারে সংঘটিত অপরাধের বিচার অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থায় সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ আরো বলেছে, রাষ্ট্র হিসেবে মিয়ানমারের অপরাধ ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিজে (আইসিজে) বিচারের উদ্যোগকে বাংলাদেশ সমর্থন করে। এ ছাড়া মিয়ানমারের অপরাধীদের আইসিসিতে বিচার বা আলাদা আদালত প্রতিষ্ঠার সুপারিশকেও বাংলাদেশ স্বাগত জানায়।

মিশনের বিশেষজ্ঞ রাধিকা কুমারাস্বামী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারে স্বেচ্ছায়, নিরাপদ প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়। রাখাইনে কাউকে যেতে না দিয়ে নৃশংসতা আড়াল করা যাবে না। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীতে যত দিন পরিবর্তন না আসছে তত দিন মিয়ানমারে সংস্কার ও পরিবর্তন সম্ভব নয়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ