1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০৬ অপরাহ্ন

বাড়িতেই পড়াশোনা করছে কাশ্মীরি শিক্ষার্থীরা

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ২৩ Time View

ভারতীর সংবিধানে কাশ্মীরকে যে বিশেষ স্বায়ত্বশাসিত এলাকার মর্যাদা দিয়েছিল ৩৭০ ধারা-তা বাতিল করেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। এরপরই রাজ্যটিতে জারি করা হয় কারফিউ। বন্ধ করে দেওয়া স্কুল-কলেজ। এর কারণেই কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের হজরতবালে নিজের বাড়িতে অন্তত শ’দুয়েক ছাত্রছাত্রীকে পড়ানো শুরু করেছেন মুনাজা ইমরান বাট।

এদিকে অগস্টের মাঝামাঝি স্কুল খুললেও দফায় দফায় কারফিউয়ে উপত্যকার অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা স্কুলে হাজির হতে পারছে না। ফলে মুনাজার মতো প্রাইভেট শিক্ষকদের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া উপায় নেই অভিভাবকদের। মুনাজ়া বলেছেন, আমি আগে থেকেই ভাইবোনদের পড়াতাম। গত কয়েক দিন ধরে বহু অভিভাবক এসে অনুরোধ করছেন তাদের এলাকায় গিয়ে পড়ানোর জন্য। আসলে পরীক্ষার সময় গেলেও ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানো উচিত হবে কি না, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারছেন না বাবা-মায়েরা।

স্কুলে না গেলেও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া যাতে বন্ধ না-হয়, সেই দিকে নজর রাখছেন অভিভাবকেরা। কাশ্মীরের স্থানীয় বাসিন্দা আসিফা নামে এক নারী জানান, গত মাস থেকেই বাচ্চাদের বাড়িতে পড়াচ্ছেন তিনি। তার মতে, স্কুলে না-যাওয়ার যে ক্ষতি, তা অনেকটাই সামলানো যাবে এতে। ওই গৃহবধূর বক্তব্য, ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের জেরে হঠাৎ ৫ অগস্ট থেকে স্কুল কেন বন্ধ হয়ে গেল, তা বোঝানো যাচ্ছে না ছোটদের।

আসিফা বলেন, আমি নিজের বাচ্চাদের পড়ানো শুরু করতেই আত্মীয়, প্রতিবেশীরা তাদের ছেলেমেয়েদের পাঠাতে শুরু করেছেন। যদিও এভাবে স্কুলের অভাব মেটানো সম্ভব নয়, তবে দিনের কিছুটা সময়ে ওদের ব্যস্ত রাখা যায়।

কাশ্মীরের ইউনিস মালিক নামের এক স্কুলশিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তা বলেন, কোনো ছাত্র বা অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। কিভাবে পরীক্ষার ফর্ম দেব? আমরা দেখছি কী করা যায়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন।

সূত্র: আনন্দবাজার।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ