1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ২২ Time View

রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারের আমিনবাজার বর্জ্য ডাম্পিং স্টেশন বন্ধ করার নোটিশ দেওয়ান সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এ ছাড়া পরিবেশ দূষণের দায়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) সর্বোচ্চ জরিমানা করার সুপারিশ করা হয়েছে।

আজ শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এই সুপারিশ করে। বৈঠকে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তারা শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
সংসদীয় কমিটির বৈঠক সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকের আগে গত ৪ এপ্রিলও এই ডাম্পিং স্টেশন নিয়ে আলোচনা হয়। পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে এই ডাম্পিং স্টেশনটি। শুরুতে এই প্রকল্পের জন্য ‘স্থানগত ছাড়পত্র‘ পেয়েছিল অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন। ‘স্থানগত ছাড়পত্র’ হলো কোনো এলাকায় কাজ করার জন্য পরিবেশন অধিদপ্তর থেকে পাওয়া ছাড়পত্র। এরপর পরিবেশগত ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়।

সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, গত এপ্রিলে আমিনবাজারের ডাম্পিং স্টেশন নিয়ে আলোচনার পর পরিবেশ অধিদপ্তর ডিএনসিসিকে ৩টি নোটিশ দেয়। কিন্তু এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গেও পরিবেশ মন্ত্রণালয় কথা বলে। সিটি করপোরেশন জানায় তাদের দেড় দুই বছর সময় লাগবে।

এই অবস্থায় সিটি করপোরেশনকে জরিমানা এবং ডাম্পিং স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়ার নোটিশ দেওয়ার সুপারিশ এলো। আজ বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ডাম্পিং স্টেশনটি করার জন্য পরিবেশ ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি। এটি বন্যা প্রবণ এলাকায় অবস্থিত। বর্ষায় সব আবর্জনা নদীর পানিতে মিশে ছড়িয়ে পড়ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর আগেও এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনকে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু সাড়া পায়নি। সংসদীয় কমিটি এই ডাম্পিং স্টেশনটি বন্ধ করতে নোটিশ দিতে সেই সঙ্গে পরিবেশ দূষণের দায়ে আইন অনুযায়ী জরিমানা করতে বলেছে। সিটি করপোরেশন বলে তারা বাড়তি সুবিধা পেতে পারে না। আইন সবার জন্য সমান।

২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে ৫০ একর জমির ওপর নতুন করে নির্মাণ করা হয় আমিন বাজার বর্জ্য ডাম্পিংয়ের কাজ। ২০০৭ সাল থেকে এতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুরু হয়। এই প্ল্যান্টের মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু এখনো ওই এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চলছে।

সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুর নাহার, মোজাম্মেল হোসেন, দীপংকর তালুকদার, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, জাফর আলম, রেজাউল করিম বাবলু এবং খোদেজা নাসরিন আক্তার অংশ নেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ