1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০৪ অপরাহ্ন

পাকিস্তানি সাংবাদিকের সঙ্গে শশী থারুরের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৯
  • ৩৪ Time View

ফাইভ স্টার হোটেলের ঘরে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিলো ভারতের কংগ্রেসদলীয় এমপি শশী থারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের। আঙুল উঠেছিল নিহত সুনন্দার খোদ স্বামী শশী থারুরের দিকে।
সেই রহস্যের আজও কিনারা হয়নি। তবে এবার সুনন্দা মামলায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। শশী থারুরের সঙ্গে পাকিস্তানি সাংবাদিক মেহের তারারের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ মিলেছে।
ফলে শশীর থারুরের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরেই সুনন্দরা আত্মহত্যা বলে অনুমান করা হচ্ছে এবার। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে বধূ নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট উল্লেখ করে পুলিশ জানিয়েছে, সুনন্দার শরীরে অন্তত ১৫টি আঘাতের চিহ্ন ছিল। পাকিস্তানি সাংবাদিক মেহের তারারের সঙ্গে থারুরের যে ‘ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক’ ছিল, সেই দাবিও করেছেন বিশেষ সরকারি আইনজীবী। সেই সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেছিলেন সুনন্দা।
২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি, দিল্লির লীলা প্যালেস হোটেলে সুনন্দার দেহ মিলেছিল।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, শরীরে বিষক্রিয়ার জেরেই মৃত্যু হয় তাঁর। সেই মামলাতেই চার্জশিট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে আদালতে। বুধবার মামলার শুনানি ছিল। এই শুনানিতেই বিশেষ সরকারি আইনজীবী অতুল শ্রীবাস্তব ময়নাতদন্তের রিপোর্ট উল্লেখ করে জানান, সুনন্দার মৃত্যুর কারণ বিষক্রিয়া। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে হাত, পা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে মোট ১৫টি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে সুনন্দার। তাই এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।
সুনন্দা
পাকিস্তানি সাংবাদিকের সঙ্গে থারুরের সম্পর্ক ‘ঘনিষ্ঠ’ বোঝাতে একাধিক ই-মেইলের উল্লেখ করেন অতুল শ্রীবাস্তব। তাঁর দাবি, একটি ই-মেইলে মেহের তারারকে ‘মাই ডার্লিংয়েস্ট’ বলে উল্লেখ করেছিলেন থারুর। শ্রীবাস্তব বলেন, ‘এই রকম বহু চিঠি আছে, যাতে থারুর এবং তারারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রমাণ রয়েছে। ’
আর এই সম্পর্কের জেরেই সুনন্দার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় থারুরের। এবং সুনন্দা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। থারুরের হয়ে সওয়াল করছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ পাহোয়া। থারুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ খণ্ডন করতে তিনি বলেন, এই ধরনের কোনও ই-মেইলের কথা তাঁর জানা নেই।
থারুরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ ধারায় বধূ নির্যাতন এবং ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনেছিল তদন্তকারী দিল্লি পুলিশ। বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন থারুর।
সূত্র: কলকাতা ২৪x৭

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ