1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১২ পূর্বাহ্ন

গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে কলকাতার তারকাদের বিজেপিতে নেওয়া হচ্ছে?

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৯
  • ৩২ Time View

গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে কলকাতার নামী দামী তারকাদের দলে ভেড়াচ্ছে বিজেপি। সম্প্রতি এমনটাই অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। অবশ্য এই মুহূর্তে কলকাতার তারকাদের কদর যে দিল্লির সংসদে গুরুত্ববহন করছে সে কথা স্পষ্ট হয়েছে। যেমন দেব, নুসরাত, মিমি পশ্চিমবঙ্গের আসন থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। অর্থাৎ ভোটের বাজারে তারকা ইমেজ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এর আগেরবারও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন আসন থেকে টালিগঞ্জের তারকারা জয় নিয়ে ফিরেছেন।

স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নজর এখন এইসব এলাকায় পড়বে। আর সে কাজটি নাকি ক্ষমতাসীন বিজেপি শুরু করে দিয়েছে। এটা মমতার দাবি। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন মামলার ভয় দেখিয়েও যেভাবে হোক বিজেপি টালিগঞ্জকে শক্ত অবস্থান নেবে বলেও মনে করেন মমতা। কিন্তু ভয় দেখিয়ে কিনা, ইতোমধ্যে মমতা রিমঝিম মিত্র সহ একাধিক তারকা দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

মমতার ইঙ্গিত চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণাসহ একাধিক টালিগঞ্জের তারকাদের দলে যোগদানের বিষয়ে চেষ্টা করছে বিজেপি। মমতা সম্প্রতি কলকাতার ধর্মতলার এক জনসভায় বলেন, ‘শতাব্দী আমাকে বলছিল, জানো দিদি, আমাকে আবার ইডি ডেকেছে…শতাব্দীকে একা নয়, প্রসেনজিৎ-, ঋতুপর্ণাকেও ডেকেছে ইডি। আরও অনেককেই ডাকবে। ডেকেই বলছে, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ কর। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে গ্রেপ্তার করা হবে না। না যোগাযোগ করলে তাপস পাল হতে হবে, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় হতে হবে…আমার কাছে প্রমাণ রয়েছে।’

রোজভ্যালি মামলায় ইতিমধ্যেই প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণাকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। অন্যদিকে, সারদাকাণ্ডে অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কেও তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রোজভ্যালি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা তাপস পাল। চিটফান্ড মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ বলেন, এটা খুবই চিন্তাজনক। চ্যালেঞ্জ করে বলছি, যদি এমন কেউ বলে থাকেন, তার নাম বলুন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কতটা হতাশ হলে সিবিআইকে বদনাম করার চেষ্টা করতে পারে কেউ।

প্রসঙ্গত, এর আগেও বহুবার সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলেও তোপ দেগেছিলেন মমতা। গত ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে মমতার ধর্না কর্মসূচি আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ