1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪২ অপরাহ্ন

ফুটপাত থেকে উঠে এসে স্টার হয়েছি: জ্যাকি শ্রফ

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৯
  • ২৯ Time View

সাক্ষাৎকার বললে ভুল বলা হবে। এটা ছিল নিছকই আড্ডা। চৈত্রের এক পড়ন্ত বিকেলে ভারতের মুম্বাইয়ের এক পাঁচ তারকা হোটেলে বলিউডের দাপুটে নায়ক জ্যাকি শ্রফের মুখোমুখি এই প্রতিবেদক। প্রতিবেদকের চোখে রোদ পড়তে দেখে তিনি নিজে উঠে পর্দা টেনে দিলেন। আর মুচকি হেসে বললেন, ‘আজকালকার মেয়েরা রোদ সহ্য করতে পারে না। আমার কিন্তু এই পড়ন্ত রোদ দারুণ লাগে।’

মুক্তি পেতে চলেছে জ্যাকি শ্রফ অভিনীত ছবি রোমিও আকবর ওয়াল্টর। তবে নিজের অভিনীত চরিত্র নিয়ে কিছু বলেননি তিনি। এই আড্ডায় উঠে এসেছিল তাঁর জীবনের নানান কথা। জ্যাকি বি–টাউনে সবার কাছে ‘জগ্গু দাদা’ হিসেবে পরিচিত। সব সময় তাঁকে তাঁর নিজস্ব আন্দাজে দেখা যায়। ধুতির সঙ্গে পায়ে বুট জুতা, প্রিন্টের শার্ট, গলায় রংবেরঙের স্কার্ফ, নানান ধরনের টুপি এইভাবে নানান আন্দাজে ধরা দেন বলিউডের জগ্গু দাদা। সম্প্রতি আম্বানি পরিবারের বিয়েতেও তাঁর স্টাইল বাজিমাত করেছে। এ দিনও তিনি ছিলেন এক অন্য সাজপোশাকে। এ প্রজন্মের অভিনেতারাও জ্যাকির স্টাইলের ভক্ত। জ্যাকির সেদিনের সাজপোশাকের প্রশংসা করতেই গুনগুনিয়ে তিনি গেয়ে ওঠেন তাঁর ছবির একটি গান, ‘শুকরিয়া মেহেরবানি’। তারপর বলেন, ‘আমি ফ্যাশন নিয়ে খেলতে ভালোবাসি। আর তাই বন্ধুর ছেলেমেয়েরা আমার খুব ভক্ত। ওদের সেই ছোট থেকে দেখছি। আজও পার্টিতে গেলে ওদের সঙ্গে দেখা হয়। বাচ্চাগুলো বড় হয়ে গেলেও আমার সঙ্গে বন্ডিং একই রকম আছে। আমার ফ্যাশন ওরা খুব পছন্দ করে। আমি বোধ হয় প্রথম ব্যক্তি, যে ধুতির সঙ্গে পায়ে বুট জুতো পরেছি। হা হা হা।’

বলিউডে তারকাখ্যাতি পেয়েও জ্যাকি সব সময় মাটিতে পা রেখে চলেন। মুম্বাইয়ের এক বস্তিতে তাঁর বড় হয়ে ওঠা। আজও তিনি নিয়ম করে যান সেই বস্তিতে। আজও কীভাবে নিজের শিকড়কে ধরে রেখেছেন, এর জবাবে এই বলিউড তারকা বলেন, ‘অনেক বড় বড় মানুষকে আমি কাছ থেকে দেখেছি। তাঁদের উচ্চতার কাছে আমি কিছুই নই। আমি চুনোপুঁটি। বিনোদ খান্না, শশী কাপুর তাঁরা যত বড় তারকা, তার চেয়েও মানুষ হিসেবে তাঁরা অনেক বড়। এঁদের থেকে শিখেছি অসাধারণ হয়েও সাধারণ কীভাবে হওয়া যায়।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমার বস্তিতে চারটা বেড রেখেছি। সেখানে ডাক্তারের ব্যবস্থা আছে। কেউ অসুস্থ হলে সেখানে ভর্তি করা হয়।’

জ্যাকির ছেলে টাইগার শ্রফও মাটিতে পা রেখে চলেন। এই শিক্ষা কি টাইগার বাবার থেকে পেয়েছেন, এর জবাবে জ্যাকি বলেন, ‘আমি আমার মায়ের থেকে জীবনের সব মূল্যবান শিক্ষা পেয়েছি। টাইগারও ওর মা আয়েশার থেকে শিক্ষা, সংস্কার, আচার শিখেছে। আসলে আমার ধারেকাছে আয়েশা সন্তানদের খুব একটা ঘেঁষতে দিত না। কারণ, আমি খুব গালিগালাজ করি। আজও মুম্বাইয়ের টাপোরি (কথ্য) ভাষায় কথা বলি। তাই আমার থেকে ছেলেমেয়েকে দূরেই রাখত আয়েশা।’

জ্যাকি-আয়েশার কৈশোরের সেই প্রেম আজও অটুট। তাঁদের সুখী দাম্পত্যের রহস্য কী, এর জবাবে মুচকি হেসে জ্যাকি বলেন, ‘আমরা একে অপরকে স্বাধীনতা দিয়েছি। নিজেদের মতো বাঁচার অধিকার দিয়েছি। একে অপরকে সম্মান করি আমরা। আর তা না হলে আমরা এত বছর সম্পর্কটা বাঁচিয়ে রাখতে পারতাম না।’

ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত বাংলা ছবি অন্তরমহল–এ অভিনয় করেছিলেন জ্যাকি। এরপর আর বাংলা ছবিতে দেখা যায়নি তাঁকে। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জ্যাকি বলেন, ‘অন্তরমহল ছবির মান ছিল আলাদা। সেই উচ্চতার কোনো বাংলা ছবির প্রস্তাব পাইনি। যদি ভালো বাংলা ছবির প্রস্তাব পাই, নিশ্চয় করব।’

চিত্রনাট্য দেখে নয়, একটা সময় অর্থ উপার্জনের জন্য যেকোনো ছবিতে কাজ করতেন জ্যাকি শ্রফ। তিনি বলেন, ‘ফুটপাত থেকে উঠে এসে স্টার হয়েছি। আমার কাছে যা ছবি আসত, তা–ই লুফে নিতাম। ভাবতাম, দুটো পয়সা তো পকেটে আসবে। তখন অর্থ উপার্জনই ছিল আমার কাছে সবার আগে।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ