1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:০৪ অপরাহ্ন

নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন পিজে হেলেন

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০১৯
  • ৪০ Time View

গতশুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যার করতে গিয়েছিলেন মডেল ও অভিনয়শিল্পী পিজে হেলেন। ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন ‘কিছুক্ষণের মধ্যে ফেসবুক লাইভে আসছি। এটাই সম্ভবত শেষ। আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে।’

এমন পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষণ পর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ঝোলানো একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘বাই বাই।’ ততক্ষণে ফেসবুকে ভাইরাল হয় ছবিগুলো মা জেবি ঝর্ণার কানেও পৌছে মেয়ের এই সিদ্ধান্তের কথা। পরে মা ঝরনা দরজা ভেঙে মেয়েকে উদ্ধার করেছেন বলে শনিবার সমকাল অনলাইনকে জানান। বেঁচে যায় একটি প্রাণ। হাসপাতালে নেয়া হয় পিজে হেলেনকে। মগবাজারের একটি হাসপাতলে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এই মডেল।

পিজে হেলেন ২০১৫ সালে একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেন। অভিনয় করছেন নাটকেও। চিত্রনায়ক নিরবের ‘গেম রিটার্নস’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হলেও শেষ পর্যন্ত তার অভিনয় করা হয়নি। বেশ ক’টি মিউজিক ভিডিওতেও মডেল হয়েছেন তিনি।

তার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো ‘ব্ল্যাক হোল’, ‘ডেইলি ফ্রাইট নাইট’, ‘লাইন ইন আ মেট্রো’, ‘সহযাত্রী’ ও নাইন অ্যান্ড হাফ’। আর উল্লেকযোগ্য বিজ্ঞাপনগুলো হচ্ছে গ্রামীণফোন, ইস্পাহানি চা, অলিম্পিক টুইংকেল বিস্কুট, প্রাণ পিকল, মোজো, সহজ ডটকম, আরএফএল ফ্রেসকো কনটেইনার, আরএফএল টিউবওয়েল।

শনিবার পিজে হেলেনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। নিজের ভুল বোঝতে পেরেছেন বলে জানান তিনি। আরও জানান এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেও উচিত হয়নি তার। পিজে হেলেন বলেন, হতাশায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলাম। অনেক দিন ধরে হতাশার মধ্যে আছি। কাউকে কিছুই বলতে পারছি না। আবার যা হচ্ছে সঙ্গে সেটাও সহ্য করতে পারছি না।

তবে কাজ নিয়ে হতাশা নয় বলেও জানান তিনি।একেবারে ব্যক্তিগত সমস্যা। কোনো কিছু ভেবে না পেয়ে, নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আত্মহত্যার মতো একটি সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানান হেলেন।

মেয়ের এমন কাজে পাগলপ্রায় মা জেবি ঝর্ণা। মেয়েকে উদ্ধার কার ঘটনা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার আগে মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খায় হেলেন। এরপর ঘরের সিলিং ফ্যানে ফাঁস দেওয়ার দেওয়ার চেষ্টা করে। তাঁর বন্ধুদের মধ্য থেকে কেউ একজন ফোন করে আমাকে খবরটি জানায়। আমি দ্রুত ওর রুমে যাই। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখে ভাঙতে বাধ্য হই। এরপর মেয়েকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ওকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ