1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরো একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২০ আবুধাবির পদক্ষেপকে ‘বিপজ্জনক’ বলে জাতীয় নিরাপত্তা সতর্কতা সৌদি আরবের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক গেজেট জারি খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শহিদ জিয়ার কবরের পাশে খালেদা জিয়ার দাফনের প্রস্তুতি দেশ ও মানুষের কল্যাণে আমার মা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন: তারেক রহমান খালেদা জিয়ার দাফন পর্যন্ত গণভোটের প্রচার না করার নির্দেশ সরকারের গণতন্ত্র অধিকার প্রতিষ্টায় আপসহীন ভূমিকা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে: রাষ্ট্রপতির শোক খালেদা জিয়া দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের প্রতিনিধি: জিএম কাদেরের শোক

বন্দুক হাতে নিলেই কাশ্মীরি যুবকদের শেষ করার হুমকি কতটুকু ইতিবাচক?

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
  • ২৪ Time View

কাশ্মীরে বন্দুক হাতে নিলেই শেষ করে দেওয়া হবে বলে ফের উপত্যকার যুব সমাজকে বার্তা দিলেন ভারতীয় সেনার চীনার কোর-এর কমান্ডার কে জে এস ধিলোঁ। তবে এমন দমননীতির বার্তা জঙ্গি সমস্যা কমাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

পুলওয়ামা কাণ্ডের পরে গতকাল সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে তিন জইশ জঙ্গি। আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় সেনার চিনার কোরের কম্যান্ডার কে জে এস ধিলোঁ স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, আগামী দিনে আরো শক্ত হাতে জঙ্গি দমন করা হবে। কোনো ধরনের বিরোধিতা হলে প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ করতে দ্বিধা করবে না সেনা।

তিনি বলেন, ‘উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। কাশ্মীরি যুবকেরা হাতে বন্দুক নিলে তাদের শেষ করে দেওয়া হবে’। তবে আত্মসমর্পণ করলে সামাজিক সুরক্ষা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সেনার তরফ থেকে। কাশ্মীরি মায়েদের কাছে ধিলোঁর আর্জি, বিপথগামী সন্তানদের আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে বলুন।

কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন হল, ওই দমননীতিতে কি আদৌ কোনো লাভ হবে? কারণে মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেই কাশ্মীরের শান্তি ফেরানোর দায়িত্ব কার্যত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের হাতে তুলে দিয়েছিল। শুরু থেকেই কড়া দমননীতির রাস্তা বেছে নেওয়া হয়। পাঁচ বছরে উপত্যকায় প্রায় সাড়ে আট শ জঙ্গি নিহত হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, নিহত জঙ্গিদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে স্থানীয় যুবকদের সংখ্যা। কমছে বিদেশি জঙ্গি। ওই ঘটনা উদ্বিগ্ন করেছে সরকারকে।

কারণ এ যাবতকালে কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপের পেছনে পাকিস্তান থেকে পাঠানো বিদেশি জঙ্গিরাই দায়ী বলে সরব ছিলো ভারত। আর পাকিস্তানের যুক্তি ছিল, কাশ্মীরের মানুষ ভারতীয় সেনার ‘আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে স্থানীয় যুবকদের জঙ্গি দলে নাম লেখানোর প্রবণতা ভারতের জন্য যে যথেষ্ট চিন্তার বিষয় বলেই মানছে নর্থ ব্লক। স্বরাষ্ট্র কর্তাদের একাংশের মতে, অতিরিক্ত দমননীতিতে সম্ভবত হিতে বিপরীত হচ্ছে।

তাই লোকসভা ভোটের আগে এভাবে নতুন কড়া বার্তা কাশ্মীরের যুবকদের নতুন করে বিচ্ছিন্ন করে দিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে একাধিক শিবির। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি মনে করেন, ‘দমননীতির পথ নিলে বিচ্ছিন্নতাবাদ আরো বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। কাশ্মীরি যুব সমাজের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজন ছিল’।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ