1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন

সহিংসতার ঘটনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ সিইসির

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ৩৭ Time View

আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে গত দুই দিন ধরে নির্বাচনী প্রচারের সময় সহিংসতার ঘটনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।

এবারের ঘটনা গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির পুনরাবৃত্তি কিনা, তাও খতিয়ে দেখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন সিইসি।

আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে সকালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে এক বৈঠকের শুরুতে তিনি এ নির্দেশ দেন।

বৃহস্পতিবার সকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সিইসির সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশগ্রহণ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ভিডিপিসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা।

এ ছাড়া ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও স্থানীয় পর্যায়ের পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত আছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, গত দুই দিন ধরে নির্বাচনী প্রচারে সহিংসতার ঘটনা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির পুনরাবৃত্তির পাঁয়তারা কি-না খতিয়ে দেখতে হবে।

সিইসি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের অবস্থা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। ২০১৪ সালে একটা ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল সে অবস্থার আলোকে আমাদের এ বছরের নির্বাচনের প্রস্তুতির রূপরেখা অবলম্বন করা প্রয়োজন। তখন মাঠে সব বাহিনী ছিল। সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ছিল-তবুও আমরা দেখেছি পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে, প্রিজাইডিং অফিসার নিহত হয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেট নিহত হয়েছে, শত শত মানুষ নিহত হয়েছে, শত শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়েছে।

তিনি বলেন, সেটা কী প্রেক্ষিতে হয়েছিল, সেটা আমরা কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি, সে প্রসঙ্গ আলোচনা করার প্রয়োজন আমি মনে করি না। সেটা আমাদের মনে রাখতে হবে, ভুলে গেলে চলবে না। সে অবস্থা থেকে কীভাবে উত্তরণ করা যায়, সে অবস্থার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেই পরিবেশ পরিস্থিতির সৃষ্টি যাতে না হয়, সেদিকে সতর্কতার সঙ্গে দৃষ্টি রাখতে হবে।

এবারের নির্বাচনে আপনাদের দায়িত্ব জনগণের জীবন রক্ষা, মালামাল রক্ষা, দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত রাখা।

প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল শতকরা ৯৫ ভাহের বেশি সম্পন্ন হয়েছে। কেবলমাত্র ব্যালট পেপার ছাপানোর মতো টুকিটাকি কাজ বাকি আছে। ভোটকেন্দ্র নির্ধারিত হয়েছে, ভোটারদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

আমি প্রত্যাশা করব, পেশাদারি ও নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা ও মানসিকতা নিয়ে এবারের নির্বাচন মোকাবিলা করতে পারব। এবারে যেন সেবারের মতো তাণ্ডব না ঘটে, সেরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা কিন্তু আশঙ্কাগুলো একেবারে অবহেলা করতে পারি না। প্রতীক বরাদ্দের পরদিনই যে ঘটনা, তা যতো তুচ্ছ হোক না কেন-দুটো জীবনের মূল্য অনেক। এখানে-ওখানে ভাঙচুর প্রতিহত করা–এগুলোর পেছনে কী শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণ নাকি ২০১৪ সালের মত ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে কি না-সেটিতে নজর নিতে হবে।

সিইসি আরও বলেন, এ দেশে স্বাভাবিক সামাজিক রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা হোক-তা না চাইতে প্রভাবশালী মহল সক্রিয় থাকতেই পারে। তাদের বিষয়ে সবার সচেতন থাকা প্রয়োজন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ