1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ঋণখেলাপির তালিকা থেকে মান্নার নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ, বাধা নেই নির্বাচনে অপরাধীরা যাতে সীমান্ত দিয়ে পালাতে না পারে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রামে আসন পরির্বতনসহ দলীয় প্রার্থীও বদল করেছে বিএনপি বিএনপিতে যোগ দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই : তাসনিম জারা ইউক্রেন যুদ্ধ থামবে কি না, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বোঝা যাবে: ট্রাম্প মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ২৭৮০ জন, জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ নাহিদ ইসলামরা এভাবে প্রতারণা না করলেও পারতেন : আব্দুল কাদের এনসিপির সব কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম মাকে বেঁধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামের সংঘর্ষ, আহত ৩০

নতুন জীবন পেয়েছি, হারিয়েছি বন্ধুদের

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১৮
  • ২৩ Time View

সোমবার ইউএস-বাংলার যে বিমানটি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়েছিল সেই বিমানের যাত্রী ছিলেন কেশব পান্ডে। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। বেঁচে যাওয়ার ঘটনাকে সৌভাগ্য হিসেবেই দেখছেন কেশব।

কাঠমান্ডু পোস্টের এক খবরে জানানো হয়েছে, ললিতপুর মেডিসিটি হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কেশব পান্ডে। একটি ট্রাভেল এজেন্সির অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন কেশব।

কাস্টমার সাকসেস সামিটে অংশ নিতে ৯ মার্চ বাংলাদেশে আসেন কেশব পান্ডে। দুর্ঘটনার দিন ট্রাভেল এজেন্সির আরও ১১ অপারেটর এবং ইউএস-বাংলার দুই প্রতিনিধির সঙ্গে দেশে ফিরছিলেন কেশব।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের ব্যবসায়ী অংশীদার ইউএস-বাংলার একটি সামিটে অংশ নিতে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করি। কক্সবাজারে ওই প্রোগ্রাম হওয়ার পরই আমাদের দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা আরও একদিন বাংলাদেশে থাকার সিদ্ধান্ত নেই।

ট্রাভেল এজেন্সিতে কেশবের ১২ বন্ধুর মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশে থেকে যায়। এদের মধ্যে দু’জন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের। তাদের নেপালে যাত্রা করার একদিন আগেই বাকি দু’জন নেপালে চলে যায়।

সোমবার যথারীতি কেশব এবং তার বাকি বন্ধুরা যাত্রা করেন। সময় মতোই বিমান ছেড়ে যায়। সেখানে নেপালের বেশ কয়েকজনকে দেখতে পান তারা। এমবিবিএস শেষ করে ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছিলেন মেডিকেল কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও। একই বিমানে নিউরো সার্জন কৃষ্ণ থাপাও ছিলেন।

বিমান যখন কাঠমান্ডুর বিমানবন্দরে ঢোকে তখন কন্ট্রোল রুম থেকে দেয়া তথ্যবিভ্রাটের কারণে বিমান ভুল রানওয়েতে অবতরণ করতে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। কেশব বলেন, আমরা ভেবেছিলাম, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে যেসব নির্দেশনা দেয়া হচ্ছিল সেভাবেই বিমান অবতরণ করছেন পাইলট।

কিন্তু বিমান অবতরণের সময় ঝাঁকুনি দিচ্ছিল। আমরা ভাবছিলাম আমাদের হয়তো আর সময় নেই। কিন্তু যখন পাইলট ঠিকভাবে সঠিক রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টা করছিলেন তখন আমরা ভেবেছি হয়তো বেঁচে যাব।

বিমান অবতরণের দুই মিনিট আগেও আমরা বেশ আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু কয়েক মুহূর্তে বিমানে তীব্র শব্দ হলো। শুধু এতটুকুই আমার মনে আছে। আমি নিজেকে বাঁচানোর খুব চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু বিমানের ভেতরে কালো ধোঁয়ায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না।

আমি বিধ্বস্ত বিমান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু পায়ে আঘাত পাওয়ার কারণে পারছিলাম না। ঠিক সে সময়ই নেপালের সেনা সদস্যরা আমাকে দেখতে পান এবং সেখান থেকে উদ্ধার করেন।

আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে সেখান থেকে নিয়ে মেডিসিটি হসপিটালে নিয়ে যায়। কেশব পান্ডে বলেন, দুর্ঘটনা থেকে আমি বেঁচে গেছি, নতুন জীবন পেয়েছি। কিন্তু আমার অনেক বন্ধুকে হারিয়েছি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ